শৈলকূপায় হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা
আবহমান বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অনুষঙ্গ লাঠিখেলা। তবে সময়ের ব্যাবধানে হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ খেলা। একইসঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে এই খেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জীবন-জীবিকাও। তারপরও ঐতিহ্য ধরে রাখতে অনেকে এখনও খেলাটি খেলেন।
ঝিনাইদহের শৈলকূপার মির্জাপুর ইউনিয়নের কিসমত মাইলমারি গ্রামে রোববার বিকালে এ লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামবাসীর আয়োজনে ওই গ্রামের মাঠে জনপ্রিয় এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। চমৎকার এই আয়োজন দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজির হন অসংখ্য দর্শক।
দর্শনার্থী রামিম হাসান, ইকবাল হোসেন ও কোহিনুর বেগম জানান, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে মানুষ এখন ভুলতে বসেছে এক সময়ের জনপ্রিয় এই খেলাটি। আসলেই খেলাটি মনমুগ্ধকর। এমন আয়োজন যেন প্রতিবছর করা হয়।
বিকেলে বৃষ্টি উপক্ষো করে সাধারণ মানুষ ভিড় করেন এ লাঠিখেলা উপভোগ করতে। বর্ণিল সাজে লাঠি হাতে লাঠিয়ালরা অংশ নেন এ খেলায়। ঢাকঢোল আর বাঁশির তালে আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠেন সবাই।
শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সের মানুষ রং-বেরঙের পোশাক পরে মাঠে নামেন লাঠি খেলতে। মানুষের এ উচ্ছ্বাস প্রমাণ করে লাঠি খেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে।
কিন্তু বিভিন্ন কারণে লাঠি খেলার নতুন দল আর তৈরি হচ্ছে না। ফলে এখন লাঠি খেলার আয়োজন আর নিয়মিত হয় না। তবে যারা লাঠি খেলেন, তাদের এ ঐতিহ্য ধরে রাখার আগ্রহ আছে।
স্থানীয় সমাজসেবক আনিচুর রহমান বলেন, পূর্বপুরুষরা এ খেলা খেলতেন। আমরা সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ খেলার আয়োজন করেছি।
আহমেদ নাসিম আনসারী/এফএ/জেআইএম