৪ নম্বর বন্ধুর পা ধরে তরুণীর কান্না
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোক্তাদির রহমান ওরফে একরামকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের মৃত শামসুল হকের ভাড়াটিয়া বাসায় এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
রোববার সকালে নির্যাতিত তরুণী ফতুল্লা মডেল থানায় এ ঘটনায় মামলা করেন। গ্রেফতার মোক্তাদির রহমান ওরফে একরাম ওই এলাকার মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের জিতু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই তরুণী কালিরবাজার এলাকার হোসিয়ারী কারখানায় চাকরি করতেন।
এর আগে ফতুল্লার জিএম গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে ওই কারখানায় কর্মরত আরিফ, মোক্তাদির রহমান ওরফে একরাম, মিলন, ও হৃদয়সহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। এ গার্মেন্টস থেকে চাকরি ছেড়ে দেয়ার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শনিবার সন্ধ্যায় ডিউটি শেষে নবীগঞ্জ গুদারাঘাটে বেড়াতে যান ওই তরুণী। সেখানে আগের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় তার। তারা তরুণীকে দেখে এক বন্ধুর বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের মৃত শামসুল হকের ভাড়াটিয়া বাড়ি মোক্তাদির রহমান ওরফে একরামের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধু আরিফ, মোক্তাদির রহমান ও মিলন তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে বন্ধু হৃদয় ধর্ষণ করতে গেলে তার পা ধরে কান্না শুরু করেন তরুণী। এ সময় হৃদয় তাকে ধর্ষণ না করে ফ্ল্যাট থেকে বের করে একটি রিকশায় তুলে দেয়। পরে ওই তরুণী বান্ধবীর সঙ্গে আলোচনা করে থানায় মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মজিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয়ে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/আরআইপি