‘সেনা মোতায়েন না করলে নির্বাচন করবো না’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৮

কক্সবাজার পৌর নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই পরিবেশ নাটকীয় হয়ে উঠছে। সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের নিশ্চয়তায় দাবিকৃত করণীয় ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী রুহুল আমিন সিকদার। তার দাবি, সরকারদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। তাদের প্রতাপীয় প্রভাবে সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে ওঠেছে। এমন অবস্থা বিরাজমান থাকলে জনগণের ভোটাধিকারের সুষ্ঠু প্রতিফলন ঘটবে না। তাই ভোটের অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে সকল ভোটকেন্দ্রের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হবে।

শনিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের আলীর জাঁহালস্থ প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আশঙ্কার কথাটি জানিয়েছেন বিরোধী দলের এ মেয়রপ্রার্থী।

জেলা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়রপ্রার্থী রুহুল আমিন সিকদার বলেন, চেয়ারের চেয়ে রক্ত দামী। ক্ষমতার চেয়ারের জন্য কারো রক্ত ঝরুক, মায়ের বুক খালি হোক- তা আমি চাই না। ভোটের আকাশে শকুনি থাবা দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নস্যাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র।

জাপা প্রার্থী রুহুল আমিন সিকদার আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, ২৫টি ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করবে সরকারি দলের নৌকার প্রার্থী। ইতোমধ্যে তার লক্ষণ দেখা গেছে। সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভীতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র প্রভাবমুক্ত রাখতে সিসি ক্যামেরা ও নির্বাচনী এলাকায় সেনা মোতায়েন করতে হবে। এসব দাবি না মানলে জনগণের স্বার্থে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তারেক, জেলা জাপার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোটেক রুহুল কাদের শিলু, সায়মুন সংসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির চেয়ারম্যান প্রভাষক নুরুল আবছার সিকদার, সায়মুন সংসদের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ভুট্টু, ওলামা পার্টির জেলা সভাপতি মাওলানা শফিউল্লাহ জিহাদী, সায়মুন সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুশ শুক্কুর, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিয়াবুল হক প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, পৌরসভা নির্বাচনে ৫ মেয়র পদপ্রার্থীসহ মোট প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ৮৬ জন। ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। ১২ ওয়ার্ডে মোট ভোটকেন্দ্র সংখ্যা ৩৯টি।

সায়ীদ আলমগীর/আরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।