কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহন ধর্মঘট


প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০১৫

কক্সবাজার শহরে সিএনজি অটোরিকমা টেম্পু সড়ক ইউনিয়নের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার বিকেলে সংঘঠিত সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে অনির্দিষ্টকালের এ পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় এক নেতাকে সংবর্ধনা দেয়াকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।  এদিকে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।

পুলিশ সূত্র জানায়, সিএনজি অটোরিকশা টেম্পু সড়ক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সফর আলীকে স্বাগত জানানোকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের বাজারঘাটা এলাকায় সংগঠনের জেলা কার্যালয়ে বিবদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন জেলা সিএনজি অটোরিকশা টেম্পু সড়ক ইউনিয়নের এক গ্রুপের নেতা মো. ছিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদ। অপর দিকে আহত হন জেলা সিএনজি অটোরিকশা টেম্পু সড়ক ইউনিয়নের বর্তমান আহ্বায়ক জিন্নাত আলী বাপ্পী, নোমান, খোকাসহ ১০ জন।

আহ্বায়ক জিন্নাত আলী বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাকে সংবর্ধনা দিতে গেলে বহিষ্কৃত পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে সভায় যোগ দিতে আসা আমাদের এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে বেঁধে রাখে। আমরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমাদের উপর হামালা চালায়। এতে আমাদের ছয়জন লোক আহত হয়।

তিনি দাব করে বলেন, মো. ছিদ্দিকসহ তাদের কেউ আহত হয়নি। এটি সাজানো। বরং তারাই আমাদের লোকজনের উপর হামলা করেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও কোনো কথা বলতে রাজি হননি মো. ছিদ্দিক।

কক্সবাজার মডেল থানার অপারেশন অফিসার কাইয়ুম উদ্দীন চৌধুরী জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আবু অভিযোগ করেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। মো. ছিদ্দিকের উপর হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনভুক্ত সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার রাত ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করছে।

এদিকে ধর্মঘটের জের ধরে চট্টগ্রামের পটিয়ায়ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর এসেছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ঘরমুখি যাত্রীরা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) কাজী মতিউল ইসলাম বলেন, রাত ১০ পর্যন্ত কারও পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ধর্মঘটের বিষয়টি অবহিত হয়েছি। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সায়ীদ আলমগীর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।