স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গাছাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী লিজাকে ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত লিজার বাবা মো. মিজানুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় মধুপুর থানায় মামলা দায়েরের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ গাছাবাড়ী এলাকার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে আনোয়ার হোসেন রানা (২২), মিঠু খানের ছেলে রাশেদ খান রাসেল (১৫), শামসুল হকের ছেলে মো. আমজাদ হোসেনকে (২৮) গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। পরে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড দাবি করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েও বিশেষ কারণে প্রকাশ করছে না।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার জন্য গ্রেফতারকারীরাই দায়ী। মধুপুর থানা পুলিশ আসামিদের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ পেয়ে মূল ঘটনা অন্যদিকে ধাবিত করার চেষ্টা করছে। এলাকার কেউ নির্যাতিতদের পক্ষে কথা বললেই পুলিশ তাকে নানাভাবে হয়রানি করে ও লিজা ধর্ষণ-হত্যা মামলা ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। তাই আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী ও সংগঠন আন্দোলনের উদ্যোগ নিতে চাইলে পুলিশ সেখানেও বাধা দেয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- নিহত লিজার মা রহিমা বেগম, ভাই মো. রনি মিয়া ও বোন জামাই মো. সুমন মিয়া।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে শুক্রবার গাছাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিজা আক্তার (১১) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোসলের উদ্দেশে বের হয়। তার পর থেকে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই রাত প্রায় ৯টার দিকে বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাঁড়ে কলাপাতা মোড়ানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় লিজার নিথর দেহে ক্ষত-বিক্ষত ও কাপড়-চোপড় ছেঁড়া অবস্থায় ছিল। তার অবস্থা থেকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। পরে ২৬ মে শনিবার নিহত লিজার বাবা বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরিফ উর রহমান টগর/আরএ/আরআইপি