দাদা গো আমারে বাঁচান


প্রকাশিত: ১১:১৯ এএম, ০৫ আগস্ট ২০১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মাদরাসার তত্ত্বাবধায়ক ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির (১২) এক ছাত্রীকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে জেলা শহরের কলেজপাড়া এলাকার নাদিয়াতুল কুরআন মহিলা মাদরাসা ও নাদিয়া কিন্ডার গার্টেনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ওই মাদরাসা শিক্ষক আইদুল আলমকে (২৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত মাদরাসার তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ারুল বারী পলাতক রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটি জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৩ সালে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে নাদিয়াতুল মাদরাসা ও কিন্ডার গার্টেনের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করান।

স্থানীয় এলাকবাসী ও নির্যাতিত শিশুটি জাগো নিউজকে জানায়, মাদরাসার তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ারুল বারী ও তাঁর স্ত্রী নির্যাতিত ওই শিশুটিকে স্কুলে পড়তে দেন না। তারা সারা দিন তাকে দিয়ে ঘরের সকল কাজকর্ম করান। কাজে একটু ভুল হলেই তার উপর চলে শারীরিক নির্যাতন। বুধবার দুপুরে আনোয়ারুল বারীর স্ত্রী তাকে ভাত ও সবজি রান্না করতে বলেন। একই সঙ্গে বাড়ির কয়েকটি কক্ষের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করারও নির্দেশ দেন।

এদিকে, রান্নার সময় সবজি পুড়ে গেলে মাদরাসা তত্ত্বাবধায়কের স্ত্রী তাকে মারধর শুরু করে। পরে সে দৌঁড়ে মাদরাসা থেকে পালিয়ে আসে। এ সময় মাদরাসার শিক্ষক আইদুল আলম চোর চোর বলে শিশুটির পেছনে আসতে থাকে। পরে শিশুটি রাস্তার পাশে একটি মুদির দোকানিকে দাদা গো আমারে বাঁচান বলে চিৎকার শুরু করলে দোকানি জামাল মিয়া শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এ সময় স্থানীয়রা আইদুল আলমকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

নির্যাতিত শিশুটি জাগো নিউজকে আরো জানায়, গত তিন বছর ধরে অভিযুক্তরা তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এছাড়া প্রায়ই তার উপর যৌন নির্যাতন চালাতো শিক্ষক আইদুল আলম।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।