ডুবে গেছে চরাঞ্চলের পথঘাট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ০৯ জুলাই ২০১৮

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদীতে পানি বেড়ে ডুবে গেছে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের পথ-ঘাট ও ফসলের খেত। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এই চার উপজেলার ১৬৫টি চরের প্রায় চার লাখ মানুষ। এসব এলাকায় যোগাযোগের এখন একমাত্র উপায় নৌকা।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি পুরাতন ফুলছড়ি ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার, একই সময়ে ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ও করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী সেতু পয়েন্টে রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৯৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন গোয়ালের ঘাট পয়েন্টে কমে বিপদসীমার ১৯০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

Gaibandha-Photo

গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার পূর্বদিক ঘেঁষে উত্তর-দক্ষিণ দিক করে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও যমুনা নদী রয়েছে। এসব নদ-নদীর পূর্বদিকে বসবাস করে এই চার উপজেলার ১৬৫টি চরের প্রায় চার লাখ মানুষ। পথ-ঘাট সব ডুবে যাওয়ায় বর্তমানে এসব চরের মানুষ চলাচল করছে নৌকায় করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের পথ-ঘাট ও ফসলি জমি ডুবে গেছে। নৌকায় করে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল কাজ সম্পন্ন করছে।

Gaibandha-Photo

এদিকে গত মঙ্গলবার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় আসন্ন বন্যার প্রস্তুতি গ্রহণ, বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার, আশ্রয়কেন্দ্রে পয়ঃপ্রনালী ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাকরণ, সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ, বন্যা দুর্গতদের চিকিৎসা প্রদানসহ ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করার উপর গুরুত্বারোপ ও বন্যা মোকাবেলায় সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়।

এ বিষয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, এখনো কোনো বাড়িতে পানি ওঠেনি। নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। যদি কারো বাড়িতে পানি ওঠে তাহলে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত আছি।

রওশন আলম পাপুল/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।