নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গাইবান্ধার চার উপজেলা
গাইবান্ধার বিভিন্ন নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদসহ ঘাঘট, করতোয়া, তিস্তা ও যমুনা নদীর তীরে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ফসলি জমি, গাছপালা ও বসতভিটা বিলীন হয়ে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে ভাঙন মোকাবেলায় বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
নদী ভাঙনকবলিত এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কালী মাদারিপাড়া, চর মাদারিপাড়া, রাঘব, চর চরিতাবাড়ী, লক্ষ্মীপাড়া, চন্ডিপুর ইউনিয়নের লালচামার, কামারের ভিটা, উজান বোচাগাড়ী, হরিপুর খেয়াঘাট, কাপাসিয়া ইউনিয়নের আদর্শপাড়া, লালচামাড়, ভাটি কাপাসিয়া খেয়াঘাট, পোড়ারচর, খানাবাড়ী, চরাঞ্চলের কালাইচোতা ও ভাটি বোচাগাড়ী, শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট, গিদারী ইউনিয়নের ধুতিচোরা, বাগুড়িয়া, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসীঘাট, উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, গুচ্ছগ্রাম, মধ্য উড়িয়া, চরাঞ্চলে চরকাবিলপুর ও রতনপুর, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ উল্লাসহ সাঘাটা ও হলদিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে ফসলি জমি, গাছপালা ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসীঘাট ও উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া গ্রামে নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। এই দুই এলাকায় রয়েছে শতাধিক বসতবাড়ি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে এক মাসের মধ্যেই শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে প্রায় ১৫টি বাড়ি একেবারেই ভাঙনের মুখে রয়েছে।
উত্তর উড়িয়া গ্রামের ভ্যানচালক রনজিৎ চন্দ্র বর্মন বলেন, নদী ভাঙনের কারণে এর আগে দুইবার বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যের জায়গায় ঘর তুলে আছি। এখন আবারও ভাঙনের মুখে পড়েছি। খুব তাড়াতাড়ি ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিলে ফের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে হবে। কোথায় থাকবো, কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন মোকাবেলায় উত্তর উড়িয়া, গোঘাট, উত্তর হলদিয়া, লালচামাড়, গোবিন্দী, বড়মতাইড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে চেষ্টা চলছে।
রওশন আলম পাপুল/আরএ/পিআর