গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়


প্রকাশিত: ০৫:৫৫ এএম, ০৫ আগস্ট ২০১৫
ফাইল ছবি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা স্থল বন্দর সংলগ্ন খাটালে গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক গরু প্রতি তিন হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাহিদা মতো চাঁদার টাকা না দিলে খাটাল মালিক ও তার লোকজন গরু ব্যবসায়ীদের উপর নানাভাবে নির্যাতন করছেন।

খাটাল মালিকদের হয়রানির প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীদের পক্ষে সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীদাড়ি গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মো. মাসুদ হোসেন স্বরাষ্টমন্ত্রী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গরু ব্যবসায়ী মাসুদ হোসেন ভোমরা করিডোরে গরু প্রতি ৫শ টাকা হারে রাজস্ব দিয়ে খাটালে গরু আনতে গেলে খাটাল মালিক লিয়াকত ও ম্যানেজার রবিউল তার কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করেন। বিষয়টি সিও বিজিবিকে জানালে তিনি স্থানীয় ভোমরা ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। পরে ক্যাম্প কমান্ডারের কথা মতো খাটালে গরু আনতে গেলে ম্যানেজার রবিউল ও তার লোকজন তাকে বেদম মারিপট করেন। একপর্যায়ে তিনি পালিয়ে চলে আসেন। পরে স্থানীয় জনগণের চাপের মুখে তার গরু ও করিডোরের কাগজ ফেরত দেয়া হয়।

তিনি বলেন, মৃত. লুৎফার রহমানের ছেলে লিয়াকত ও তার সহযোগী মোহন্ত রায়ের ছেলে চঞ্চল ভোমরা খাটালের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা শুরু করেন। সরকারি রাজস্ব ফি ৫শ ও অনান্য খরচ বাবদ আরো ২ থেকে ৩শ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও খাটাল মালিকরা গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক তিন হাজার টাকা আদায় করে থাকেন। টাকা না দিলে তাদেরকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। লিয়াকত ও চঞ্চলের অত্যাচারের কারণে ভোমরা সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু আসা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একই সঙ্গে দরখাস্তের অনুলিপি সরকারের বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভোমরার খাটাল মালিক লিয়াকত তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, খাটাল নবায়ন করার সময় হয়েছে বিধায় তিনি নিজে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। তিনি যাতে এবার খাটালের ইজারা না পান সেজন্য প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। অপর খাটাল মালিক চঞ্চল ভারতে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।