১৩ দিন পর বাংলাবান্ধায় আমদানি-রফতানি শুরু
১৩ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও চালু হয়েছে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও লেবার হ্যান্ডলিং ঠিকাদারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের জেরে অচলাবস্থা দেখা দেয় চর্তুদেশীয় এই স্থলবন্দরে। আমদানিকৃত পণ্য ওঠানামায় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে ২৩ জুন থেকে ভারত, ভুটান ও নেপাল থেকে সব রকম পণ্য আমদানি বন্ধ রাখেন আমদানিকারকরা। বুধবার উভয় পক্ষের এক সমঝোতা বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয় পণ্য আমদানি-রফতানি।
পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়া উপজেলার সম্ভাবনাময় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। চতুর্দেশীয় এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার পণ্য আমদানি-রফতানি করা হয়।
গত ১ এপ্রিল থেকে এটিআই লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থলবন্দরের লেবার হ্যান্ডলিংয়ের ইজারা গ্রহণ করে। ১৪ এপ্রিল থেকে প্রতিষ্ঠানটি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভ্যাটসহ পণ্যের ওঠানামা বাবদ টন প্রতি ১২০ টাকা করে নেয়া শুরু করে। কিন্তু স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এটিআই শুধু পণ্য আনলোড করে দেয়। এ নিয়ে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, লেবার হ্যান্ডলিং ঠিকাদার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানিকারক হারুন উর রশিদ বাবু বলেন, বুধবার বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানি-রফতানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে বন্দর রক্ষার স্বার্থে সবাই ঐক্যমত হয়। সিদ্ধান্ত মতে এখন থেকে বন্দরের ইয়ার্ড এবং বাইরে পণ্য লোড করে না দেয়ার জন্য লেবার হ্যান্ডলিং ঠিকাদার এটিআই কর্তৃপক্ষ পণ্যের টন প্রতি ২১ টাকা আমদানিকারকদের ফেরত দেবে এবং আমদানিকারকরা তাদের নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে পণ্য লোড করবেন।
সফিকুল আলম/এএম/পিআর