ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে সবুজের হাট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০১:৩৩ পিএম, ০৫ জুলাই ২০১৮

ঝালকাঠিতে বর্ষা মৌসুমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় জমে উঠেছে চারা গাছের হাট। চারা রোপণের এ মৌসুমে শহরের সিটি পার্ক সড়ক, রাজাপুর উপজেলা বাঘড়ি বাজার, নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া বাজার ও কাঁঠালিয়া উপজেলার আউড়া বাজারসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে চারার হাট বসেছে। সপ্তাহে দু’দিন ধরে এসব হাটে বিক্রি হচ্ছে লাখ লাখ টাকার ঔষধি, ফলদ, বনজ ও শৌখিনসহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ।

এসব হাট ঘুরে দেখা গেছে, মেহগনি ও অন্যান্য বনজ গাছের চারা ২০ টাকা হারে বিক্রি হলেও ফলদ চারা ১৫০-২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। শৌখিনতার জন্য বিদেশি জাতের গাছের চারাও পাওয়া যায় এসব হাটে। তবে সেগুলোর দাম আরও বেশি।

আর এসব চারা উৎপাদন হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নার্সারিতে। পার্শ্ববর্তী বানারিপাড়া উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা অনেকগুলো নার্সারি রয়েছে। নার্সারি মালিকরা ট্রলার ও নৌকাযোগে হাটে এসব চারা নিয়ে আসেন।

হাটে চারা কিনতে আসা কামাল হোসেন জানান, প্রতি বছর চারা কিনে লাগান। তবে বনজ চারাই বেশি কেনেন বলে জানান তিনি।

চারা গাছ ব্যবসায়ী মনোতোষ জানান, আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র এ তিন মাস গাছের চারা বিক্রি হয়। তিন মাসে তিনি কমপক্ষে প্রায় এক লাখ টাকার চারা বিক্রি করতে পারবেন। পরিবহন খরচ, হাটের ইজারা, শ্রমের মূল্য বেশি হওয়ায় খরচ পোষাতে দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশি।

সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, বসতঘরের আশপাশে ফলদ ও শৌখিন গাছ এবং ফার্নিচার তৈরির জন্য দূরের জায়গায় বনজ গাছ লাগানো যেতে পারে।

আতিকুর রহমান/এফএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।