স্ত্রীকে নির্যাতন : জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে পরোয়ানা


প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৫

জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের লক্ষ্মীপুর পৌর শাখার সভাপতি ও জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি আবুল ফারাহ নিশানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। দুই লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ফারহানা আক্তার চামেলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করার ঘটনায় মঙ্গলবার জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সমসেরাবাদ এলাকার জামায়াত নেতা নিশানের সঙ্গে রায়পুর পৌরসভার পূর্বলাচ এলাকার প্রয়াত আবদুল ফাতেরের মেয়ে ফারহানার বিয়ে হয়। এরপর থেকে কারণে অকারণে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে ব্যবসা করার কথা বলে শাশুড়ির কাছ থেকে নিশান আট লাখ টাকা  ধার নিলেও আর পরিশোধ করেননি।

এদিকে চলতি বছরের ২ মে ব্যবসায় লোকসান হয়েছে জানিয়ে বাবার বাড়ি থেকে আরো দুই লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য স্ত্রীকে তিনি চাপ দেন এবং টাকা না দিলে সে অন্যত্র বিয়ে করে যৌতুক নেয়ার হুমকি দেন। এতে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করে নিশান, তার মা রোকেয়া বেগম ও বোন বিউটি আক্তার।

পরে স্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই নিশান ফারহানা আক্তার মুক্তা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। সর্বশেষ এ নিয়ে ২৪ জুলাই ফারহানার বাড়িতে এক পারিবারিক বৈঠকে নিশান  জানায়, যৌতুকের টাকা না দিলে সে শালিশ মানবে না।

এ ব্যাপারে জামায়াত নেতা আবুল ফারাহ নিশান বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সত্য নয়। সে আমার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে আমি কিছু বলতে চাই না।

লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজটি থানায় এসে পৌঁছেনি। কাগজ হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কাজল কায়েস/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।