ইনহাস হত্যা : শিক্ষানবিশ আইনজীবী রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ০১ জুলাই ২০১৮
খুন হওয়া ইনহাস

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ইনহাস বিনতে নাছিরকে (১২) গলা কেটে খুনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিক্ষানবিশ আইনজীবী রিজুয়ান কবির রাজুর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদ এই আদেশ দিয়েছেন বলে জাগো নিউজকে জানান চট্টগ্রাম আদালত পুলিশের (প্রসিকিউশন) সহকারী কমিশনার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।

খুন হওয়া ইনহাস বিনতে নাছিরের চাচির ছোট ভাই আসামি রিজুয়ান কবির রাজু। তিনি সাতকানিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর শিকু আরা বেগমের ছেলে।

কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনহাসের নানা নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় গত শুক্রবার রিজুয়ানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব কুমার চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর ইনহাসকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যান শিক্ষানবিশ আইনজীবী রিজুয়ান কবির রাজু।

এর আগে গত বুধবার সকালে নগরের বাকলিয়া থানার ল্যান্ডমার্ক আবাসিক এলাকায় নিজেদের বাসা থেকে ইনহাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইনহাস বিনতে নাছির নগরীর মেরন সান স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। বাবা মোহাম্মদ নাছির সৌদি আরবে থাকেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মোহাম্মদ নাছির ও নাসরিন আক্তার খুশবু দম্পতির তিন মেয়ের মধ্যে ইনহাস সবার বড়। লায়লা ভবনের পঞ্চম তলায় তিন কক্ষের বাসায় তিন মেয়ে ও শাশুড়িকে নিয়ে থাকতেন খুশবু। ঈদে সাতকানিয়ায় গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পর এখনও ফেরেননি তার শাশুড়ি। গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে মেজো মেয়েকে স্কুলে দিতে বাইরে যান খুশবু। ঘরে তখন ইনহাস আর আড়াই বছর বয়েসী ছোট মেয়ে ছিল। সকাল ৯টার দিকে বাসায় ফিরে তিনি ঘরের দরজা চাপানো অবস্থায় পান। পরে ইনহাসের ঘরে গিয়ে তাকে বালিশ চাপা অবস্থায় শোয়ানো দেখতে পান। ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে বালিশ তুলে খুশবু দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে।

এরপর তার চিৎকারে পাশের বাসা থেকে অন্যরা ছুটে এসে মেয়েটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেয়ের এ পরিস্থিতি দেখে আহাজারি করতে করতে একপর্যায়ে নিজের হাত কেটে ফেলেন মা খুশবু। পরে তার হাতে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হয়। খবর পেয়ে বাকলিয়া থানা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

কারা, কেন ইনহাসকে হত্যা করেছে, এ বিষয়ে এখনো অন্ধকারে পুলিশ। পারিবারিক বিষয়ের কারণে খুন অথবা চোরের দল এই ঘটনা ঘটাতে পারে- ধরে নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।

জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।