পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দরে পুড়ে যাওয়া ভারতীয় ট্রাকের ক্ষতিপূরণসহ বেনাপোল বন্দরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট মেইনটেন্যান্স কমিটি।
এর আগে গত ২০ জুন তারা এক চিঠিতে ২৫ জুনের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে মঙ্গলবার সকাল থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়ার কথাও জানান। সোমবার বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সমাবেশ করে তারা। সেখান থেকেও মঙ্গলবার সকাল থেকে এই লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
এ সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ থাকার ঘোষণাও দেয়া হয়। ধর্মঘটের সমর্থনে মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্টের বিপরীতে ভারতীয় পেট্রাপোল চেকপোস্টে সমাবেশ করছেন ভারতীয় বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- গত ৩ জুন বেনাপোল বন্দরে অগ্নিকাণ্ডে যে সাতটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ক্ষতিপূরণসহ অবিলম্বে ট্রাক ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বন্দরে যেসব ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে সেগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করে পুনরায় ভারতে ফেরত দিতে হবে। বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালি করতে গিয়ে ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য চুরি হলে তার দায়িত্ব ভারতীয় চালক বহন করবে না। বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালি বা চালান সহি করার কোনো খরচ ভারতীয় চালক বহন করবে না। বেনাপোল বন্দরে পার্কিং ও পণ্য গুদামে সিসি টিভি ক্যামেরা এবং চালকের জন্য শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার আবারও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বৈঠক হওয়ার কথা থাকা সত্ত্বেও তারা সেটা না করে আজ সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও দু’পক্ষের আলোচনায় একটা সমাধানে আসবে বলে আশা রাখি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, তাদের কাছ থেকে ধর্মঘটের চিঠি পাওয়ার পর সন্তোষজনক একটি সমাধানের জন্য আমরাও চিঠি দিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা সেই সুযোগ না দিয়ে সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। সমাধানের জন্য আমাদের ডাকলে অবশ্যই যাবো।
জামাল হোসেন/আরএআর/পিআর