শৌচাগারের অভাবে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভোগান্তি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৮:২৮ পিএম, ২৫ জুন ২০১৮

টাঙ্গাইলের সখীপুর সদর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেই কোনো শৌচাগার। গত পাঁচ বছর ধরে সেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটিতে শৌচাগার না থাকায় কর্মরত চারজন নারী-পুরুষ চিকিৎসকসহ রোগীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে শৌচাগার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন করেও এর কোনো সুরাহ হচ্ছে না। সর্বশেষ গত এপ্রিল মাসে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক অপু সাহা একটি আবেদন পাঠান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৬০ সালে গজারিয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে সখীপুর বাজারে এ সেবা কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়। ওই সময় ২০ হাত একটি টিনের ঘরে ওই ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি থেকে সেবা দেয়া হতো। ২০১৩ সালের দিকে জড়াজীর্ণ ওই টিনের ঘরটি ভেঙে ২৪ হাত দীর্ঘ পাকা টিনসেড ঘর স্থাপন করা হয়। কিন্তু ওই ঘরের ঠিকাদার পাকা ঘর তৈরি করলেও কোনো শৌচাগার নির্মাণ করেননি। বর্তমানে ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দুইজন মহিলা ও দুইজন পুরুষ সেবাদান কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। শৌচাগার না থাকায় পাশের একটি ব্যাংক, মসজিদ ও বাসাবাড়িতে ঢুকে কর্মরতদের শৌচাগারের কাজ সারতে হয়। এতে করে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগে পড়তে হয় কর্মরত কর্মকর্তা ও সেবাগ্রহণকারী রোগীদের।

বিজ্ঞাপন

গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের সেবাদানকারী নার্স অঞ্জনা মন্ডল বলেন, প্রায় একমাস ধরে এ হাসপাতালে যোগদান করেছি। খাবারের পর পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার জন্য রোগীদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। কিন্তু এ হাসপাতালে পানির ব্যবস্থা ও শৌচাগার না থাকায় আমি নিজেই পানি কম পান করছি। কারণ পানি বেশি পান করলে আমাকে শৌচাগার ব্যবহার করতে হবে। মাঝে মধ্যে বিপদে পড়লে পাশের ব্যাংক ও বাসা বাড়িতে গিয়ে আমাকে কাজ সারতে হয়।

ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা এক প্রসূতি মা আছমা বেগম বলেন, এ রকম একটি হাসপাতালে ওয়াশরুম নেই এটা কল্পনাও করা যায় না।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট উত্তম কুমার সূত্রধর বলেন, আমি এ কেন্দ্রে প্রায় এক বছর ধরে কর্মরত। খুবই বিপদে আছি। বিদ্যুৎ ছিল না পাশের দোকান থেকে মাসে ২০০ টাকা দেয়ার শর্তে একটি সংযোগ এনেছি। শৌচাগার না থাকায় পাশের ব্যাংকের শৌচাগার ব্যবহার করছি। এতে অনেক সময় ব্যাংকের লোকজনও বিরক্ত হন।

তিনি বলেন, আমি বহুবার শৌচাগার স্থাপনের দাবি জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি।

এ প্রসঙ্গে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিগগিরই ওই কেন্দ্রে একটি শৌচাগার নির্মাণ করে দেয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।