ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ২৫ জুন ২০১৮

ফেনীর পরশুরামে বন্যার পানি কমে গেছে, কিন্তু রেখে গেছে তার তাণ্ডবলীলার ক্ষতচিহ্ন। এবারের বন্যায় পরশুরামে প্রায় ৩০টি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট, ফসলি জমি ও মাছ চাষিদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো।

তবে এখন পানি নেমে যাওয়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিভিন্ন ভাঙন কবিলিত স্থান ও পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়া সাঁকো স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করেছেন গ্রামবাসী। উপজেলার মির্জানগরের দক্ষিণ কাউতলী গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি ভাঙন কবলিত স্থান ও একটি সাঁকো মেরামত করেছেন তারা।

কাউতলী গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মনছুর উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয়রা এসব ভাঙন কবলিত স্থান মেরামত করছেন। এর ফলে ওই এলাকার প্রায় ৪ হাজার মানুষের যাতায়াত স্বাভাবিক হয়েছে।

জানা গেছে, বন্যায় মির্জানগরের দক্ষিণ কাউতলী গ্রামের মুহুরী নদীর মূল বেড়ীবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পুরাতন বেড়ীবাঁধের আরও আটটি জায়গা পুরোপুরিভাবে ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি জায়গা আংশিক ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে ওই এলাকার অন্তত ১৫ পরিবারের বসত ঘর ও দোকান ঘর স্রোতে ভেসে যায়। এর ফলে এখনও অনেকে বেড়ীবাঁধের ওপর অস্থায়ী ঘর তৈরি তুলে বসবাস করছেন।

মনছুর উদ্দিন জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে ৪-৫টি ভাঙন মেরামত করা হয়েছে। বেড়ীবাঁধ এবং কাঁচা-পাকা রাস্তাগুলো তাড়াতাড়ি মেরামত করা হলে মানুষের কষ্ট কম হতো। আর যাদের ঘর পুরোপুরি ভেসে গেছে কিংবা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গেছে তারা এই বিপদের সময় আর্থিক এবং অবকাঠামোগত সহযোগিতা পেলে তাদের উপকার হতো।

এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।