বাস দুর্ঘটনা, মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন সুমনও

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:০৪ পিএম, ২৪ জুন ২০১৮

ঈদের ছুটি শেষে চাচাতো ভাই রায়হানসহ নিজ কর্মস্থল কক্সবাজারে ফিরছিলেন রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা সুমন (৩০)। কিন্তু সে যাত্রই যে তার শেষ যাত্রা হবে কে জানতো। দু’দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সবাইকে কাঁদিয়ে আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

শুক্রবার (২২ জুন) চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের রাউজানে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় আহত সুমন আজ ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই ঘটনায় আহত তার চাচাতো ভাই রায়হান এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনার দিন মৃত্যু হয় আরও দুই শিশু ও এক ব্যক্তির।

নিহত সুমন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নইন্যারপাড়া এলাকার ডাক্তার ওয়াকিল আহমদের ছেলে।

রাজানগর ইউপি সদস্য আবদুল করিম জানান, ঈদের ছুটি শেষে গত শুক্রবার বিকেল চাচাতো ভাইকে নিয়ে কক্সবাজারে ফিরছিলেন সুমন। চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি রুটের দ্রুতযান সার্ভিসের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে রাউজান পিংকসিটি এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। এই ঘটনায় সুমন ও তার চাচাতো ভাই রায়হান গুরুতর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সুমনের বুকে গুরুতর ক্ষত হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিনই রাত ১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, পরিবারের একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন সুমনের মা-বাবা। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্যরা হলেন- হাটহাজারী উপজেলার মোহাম্মদ ইউসুফ (৫৫), রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মো. নয়ন (৩) ও অজ্ঞাতনামা আনুমানিক পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু। এই ঘটনায় আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

আবু আজাদ/বিএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।