আর কত ছবি তুলবেন ভাই, আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই
বাড়তে শুরু করেছে পদ্মার নদীর পানি। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। রোববার ভোরে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে প্রায় ১০০ মিটার বেড়িবাঁধ সড়কসহ তিনটি বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ফলে গ্রামজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোববার ভোরে বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়কের মাথায় পদ্মা নদীর পাড়ঘেঁষে কয়েকটি বসতভিটা বিলীন হয়ে যায়।
এসব বসতভিটার ওপর থেকে ঘরগুলো আগেই সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এই গ্রামের আ. খালেক মন্ডল, নবীন মন্ডল ও আবুল কাশেম মন্ডলের বসতভিটা বিলীন হয়ে যায়।
বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আ. খালেক মন্ডল বলেন, কয়েকদিন ধরেই ভাঙন চলছে। ভাঙন শুরু হওয়ায় আমরা বসতবাড়ির মালামাল আগেই সরিয়ে ফেলি। ভোরে বসতভিটা বিলীন হয়ে যায়। এ সময় বাড়ির পাশে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলাম বলে বেঁচে যাই আমরা।
বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের রিকশাচালক আক্কাস মন্ডল বলেন, ‘আর কত ছবি তুলবেন ভাই। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই। বছর ভইর্যা হুনলাম পদ্মা বানাবে, সবাই মিথ্যা কথা কয়। এই নিদানকালে আমাদের পাশে কেউ নাই।’
চরভদ্রাসন সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ খান জানান, বালিয়াডাঙ্গী গ্রামে প্রায় ১০০ মিটার বেড়িবাঁধ সড়কসহ তিনটি বসতভিটে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ফলে গ্রামজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে আড়াই কি.মি. পদ্মা পাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ৩৩৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হলে আগামী শীতমৌসুমে উপজেলা ভাঙনকবলিত পদ্মা পাড়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
এএম/পিআর