ঈদের সপ্তম দিনে এসে দুর্ভোগ চরমে

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ০২:৪৩ পিএম, ২২ জুন ২০১৮

ঈদের পর থেকে বেশ আরামেই বাড়ি থেকে ফিরতে পারলেও সপ্তম দিনে এসে দুর্ভোগ চরমে পৌছেঁছে কর্মস্থলমুখী মানুষের। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের কুরণী পর্যন্ত যানজট রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ঈদের ছুটির পরও বাড়তি ছুটি শেষে মানুষ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। এতে মহাসড়কে যান চলাচল কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে ঈদের আগে মহাসড়কের চার লেন খুলে দেয়া হলেও বর্তমানে কয়েকটি ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকাগামী যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

শুক্রবার ভোর থেকে গাড়ির চাপ আরো বেড়ে গেলে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ১২টার দিকে মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ঢাকাগামী যান চলাচল আটকা পড়লে যানজট স্থায়ী হয়। এক পর্যায়ে যানজট মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর উপজেলার কুরণী এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী হয়। এছাড়া মির্জাপুরের দেওহাটা থেকে মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পুরাতন সড়কেও প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন আটকা রয়েছে।

Mirzapur

এদিকে টাঙ্গাইলগামী যানবাহন চলাচল করলেও মহাসড়কের মির্জাপুরের ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় সিঙ্গেল রোড এবং রেলগেটে বেরিয়ার নামানোর কারণে যানজটে আটকা পড়তে হচ্ছে। এতে কর্মস্থলমুখী যাত্রী, যানবাহনের স্টাফ ও সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দুপুর ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর বাইপাস পর্যন্ত ঢাকার দিকে প্রায় ২২ কিলোমিটার এবং চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের ধেরুয়া পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।

যানজট নিরসনে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকলেও প্রচণ্ড তাপদাহ ও ধুলার কারণে তারা নিয়োমিত কাজ করতে পারছেন না বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহাসড়কে কর্তব্যরত পুলিশের কয়েকজন অফিসার।

সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ঢাকাগামী পিকআপের চালক আবুল হোসেন বলেন, সকাল ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে যাত্রা করেন। বেলা ১২টার দিকে কুরণী এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়েন। এক ঘণ্টায় তিনি চার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে মির্জাপুর বাইপাস পর্যন্ত আসতে পেরেছেন।

একই কথা বলেন, টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মালভর্তি ট্রাকের হেলপার সজিব হোসেন ও গোপালপুর রোডের বাসের সুপারভাইজার আলহাজ মিয়া।

Mirzapur

মির্জাপুরের দেওহাটা বাইপাস স্টেশনে কর্তব্যরত টিআই মো. ইফতেখার বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। মহাসড়কের চন্দ্রা এবং ধেরুয়া এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হলেই যানজটের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া মহাসড়ক চারলেনে উন্নিতকরণ কাজ চলায় বিভিন্ন স্থানে প্রচুর ধুলা উড়ছে। এ কারণে সামনে কিছু দেখা যায় না। ধুলার কারণে যানবাহনের চালকেরা ধীর গতিতে যান চালান। এ কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাককে নদী পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। তাছাড়া বাইপাস সড়কে প্রায় শতাধিক প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসকে ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।

অপরদিকে লোকাল যানবাহনের যাত্রীদের উপচে পড়া চাপ রয়েছে লঞ্চ ঘাটে। ঘাটে লঞ্চ কম থাকায় যাত্রীদেরকে ফেরিতে পারাপার হওয়ার জন্য অনুরোধ করছে লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ।

এরশাদ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।