ত্রাণ থেকেও নেই

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ২১ জুন ২০১৮

যে পাচ্ছে ৪/৫ বার করে পাচ্ছে আর যে পাচ্ছে না ৭ দিনেও পায়নি। অথচ মৌলভীবাজারে ত্রাণের কোনো অভাব নেই। সরকার বলছে যত লাগবে তত দেবে। শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও দেশি এবং প্রবাসীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগেও চলছে ব্যাপক ত্রাণ বিতরণ। কিন্তু সুষম বণ্টন ব্যবস্থা না থাকায় ত্রাণের অভাব আছে অনেক এলাকায়।

দ্রুত নেমে যাচ্ছে বন্যার পানি, কিন্তু তার থেকেও দ্রুত বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। পর্যাপ্ত ত্রাণ থাকার পরেও বণ্টনে অব্যবস্থাপনার কারণে সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছায়নি। আবার শহর ও শহরতলীর পাশে এবং যে এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেসব একালায় কেউ কেউ ৪/৫ বার করেও পাচ্ছেন।

প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে উপজেলা প্রশাসনের হাত ঘুরে সব ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে গেলেও মাঠ পর্যায়ে সব এলাকায় ত্রাণ পৌঁছায়নি।

প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ জানান, গত ৭ দিনে ত্রাণ তো দূরের কথা, কোথাও কোথাও দেখা মেলেনি জনপ্রতিনিধিদেরও। যোগাযোগ ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে পানিবন্দি মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর অনীহার প্রমাণ পাওয়া গেছে অনেক স্থানে। অথচ বেসরকারি উদ্যোগেও অনেক জায়গায় পৌঁছেছে সহায়তা।

জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের আব্দুল হান্নান চিনু, তোয়াবুর রহমানসহ ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন অভিযোগ করে বলেন, জনপ্রতিনিধিদের ধীরগতির কারণে এখন পর্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকার লোকদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী এখনও পৌঁছেনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পতনউষা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ বাচ্চু বলেন, আমি আজ ৩টি ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ করেছি বাকিগুলতেও করে ফেলব। যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যায় এখনো পৌঁছাতে পারিনি।

Flood

জেলার আদমপুর, কামারচাক, শরিফপুরসহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নে একই অবস্থা বিরাজ করছে।

কুলাউড়ার শরিফপুর ইউনিয়নের আব্দুল মুহিত জানান, তার এবং আশপাশের ১০/১২টি বাড়িতে কেউ কিছু পায়নি।

বন্ধুদের নিয়ে টিম তৈরি করে ব্যক্তি উদ্যোগে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ করছেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আহমদ। তিনি বলেন, সারাদিন কামারচাক ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ করেছি। সেখান থেকে খবর পেয়ছি ৬নং ওয়ার্ডের ভেতরের অনেকাংশের লোক কিছুই পায়নি। যারা রাস্তার পাশে তারাই বার বার পাচ্ছে।

এ ব্যপারে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম জানান, ত্রাণের কোনো অভাব নেই। সরকার বলেছে যত লাগবে তত দেবে। ত্রাণ বিতরণ সুষ্ঠু রাখার জন্য প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের একজন এডিসি তদারকি করছেন।

তিনি আরো জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ১১৪৩ মেট্রিক টন চাল ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ ও ৬৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার বান্ডিল টিন এবং ৩০ লাখ টাকা।

রিপন দে/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।