ভোগান্তিতে কর্মস্থলে ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৬:৫১ পিএম, ১৯ জুন ২০১৮

সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি নিয়েই কর্মস্থলে ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে রাজধানীতে ফেরা এসব মানুষের বিড়ম্বনার শেষ নেই।

অন্যদিকে, বিভিন্ন নৌবন্দরে চলছে ২নং সতর্ক সংকেত। তাই সতর্কতার সঙ্গে যাত্রী বোঝাই করছে লঞ্চগুলো।

বিআইডব্লিউটিসি'র কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে আকাশে প্রচণ্ড মেঘ ছিল। পরে বাতাস শুরু হলে পদ্মা উত্তাল হয়ে উঠে। দুর্ঘটনা এড়াতে সাড়ে আটটা থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রাখতে হয়েছিল। কিন্তু যাত্রীরা থেমে থাকেননি। লঞ্চ ও স্প্ডিবোট বন্ধ থাকা অবস্থায় ফেরিতে পারাপার হন যাত্রীরা।

Madaripur-Eid-return

ঈদের আগে ও পরে ঘাট এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব, ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ, স্পিডবোটে পারাপার হচ্ছেন বেশি। তবে সকাল থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক যাত্রী লঞ্চ, স্পিডবোটের পরিবর্তে ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। এদিকে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরি ঘাটে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে।

কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, বাতাস শুরু হলে সকাল সাড়ে আটটা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেই লঞ্চ চলাচল শুরু করে। এই রুটে বর্তমানে ৮৭টি লঞ্চ, ২ শতাধিক স্পিডবোট এবং ২০টি ফেরি চলাচল করছে।

Madaripur-Eid-return

কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটের বিআইডব্লিউটি'র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, অত্র নৌবন্দরে ২নং সতর্ক সংকেত চলছে। তাই অতি সতর্কতার সঙ্গে লঞ্চে যাত্রী বোঝাই করতে হচ্ছে। যাতে কোনো লঞ্চ মালিক ও কর্মচারীরা অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করতে পারে। সেই ব্যাপারে আমরা সার্বক্ষণিক ঘাটে দায়িত্ব পালন করছি।

একে এম নাসিরুল হক/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।