বাড়ছেই মনু নদের পানি, পর্যবেক্ষণে আসছে সেনাবাহিনী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ১০:০৩ পিএম, ১৫ জুন ২০১৮

দ্রুত বাড়ছে মনু নদের পানি। ভেঙে গেছে গত ১১ বছরের রেকর্ড। শুক্রবার রাত ৯টায় চাঁদিনীঘাট পয়েন্টে মনু নদের পানি সকালের ১৩৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমা থেকে বেড়ে ১৪৬ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আর ১ সেন্টিমিটার পানি বাড়লে শহর রক্ষা বাঁধ উপচে পানি ঢুকবে মৌলভীবাজার শহরে।

এদিকে মৌলভীবাজার শহর রক্ষা বাঁধের অন্তত ২০টি জায়গা দিয়ে পানি চুইয়ে চুইয়ে সাইফুর রহমান রোড দিয়ে শহরে ঢুকছে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার শাহ জালাল, সদর আসনের এমপি সায়রা মহসিন, পৌরমেয়র ফজলুর রহমান এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জরুরি সভায় বাঁধ পর্যবেক্ষণের জন্য সেনাবাহিনীকে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর ৫/৬ সদ্যসের একটি টিম আসবে শহর রক্ষা বাঁধ পর্যবেক্ষণে। পর্যবেক্ষণ করে যদি উনারা মনে করেন কাজ করার মত সুযোগ বা দরকার আছে তাহলে পরবর্তীতে পূর্ণ টিম আসবে। এখনি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত আসেনি।

পানি বাড়তে থাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে প্রশাস। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সাইফুর রহমান রোডের যান চলাচল। শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অংশে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। বাতিল করা হয়েছে দায়িত্বশীল বিভাগের ঈদের ছুটি। মৌলভীবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করে পৌরবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে।

পৌর মেয়র ফজলুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি। সেনাবাহিনী নিয়ে এখনও ফাইনাল সিদ্ধান্ত হয়নি। অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী পার্থ জাগো নিউজকে জানান, আমরা খুব উদ্বিগ্ন। সর্বশেষ রাত ৯টায় মনু নদের পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোনো সময় মৌলভীবাজার শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে তাই সবাইকে সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ইতিমধ্যে মৌলভীবাজার শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পৌর মেয়র।

রিপন দে/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।