ঘরে ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা
ঈদে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে খুশির দিনটি উপভোগ করতে ব্যস্ততার নগরী ছেড়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে লঞ্চের পেছন দিয়ে স্পিডবোটে যাত্রী তোলা হচ্ছে। আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড় হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট ব্যস্ত হয়ে উঠছে ঘরমুখো মানুষের পদচারণায়। হাজার হাজার লোক লঞ্চ,স্পিডবোট ও ফেরিতে এসে নামছে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। ঘরে পৌঁছানোর আকাঙ্খার স্পষ্ট ছাপ চোখে-মুখে। পথের পুরো ভোগান্তি শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়বে ঘরে পৌঁছে। এমন অভিমত ঘরমুখো মানুষের।
বুধবার সকালে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেল থেকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। বুধবার সকালেই ঘাট এলাকায় ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বেড়ে যায় কয়েক গুন। প্রতিটি লঞ্চ,স্পিডবোট, ফেরিতেই ছিল যাত্রীদের উল্লেখযোগ্য চাপ। আবহাওয়া কিছুটা খারাপ থাকায় লঞ্চের পাশাপাশি ফেরিতেও যাত্রীরা পার হচ্ছে। বর্তমানে এ নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, ২ শতাধিক স্পিডবোট ও ১৯টি ফেরি যাত্রী সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
মাদারীপুরের যাত্রী শাহজাহান হাওলাদার বলেন, তিন-চারদিন পরেই ঈদ। আর ঈদের এই সময়েই রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষই গ্রামের বাড়িতে ফিরে যায়। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদের সময়টা কাটায়। আর এ সময় যাত্রাপথে ভিড় থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে ভোগান্তিও। সব কিছু মেনে নিয়ে ঘরে পৌঁছানোটাই হলো জয়ের আনন্দের মতো।
বিআইডব্লিউটিএর কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, ঈদের আগে লঞ্চে চাপ থাকে শিমুলিয়া ঘাটে। আমরা কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে প্রায় যাত্রী শূন্য লঞ্চগুলো শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে পাঠাচ্ছি। সকাল থেকেই যাত্রীরা ফিরতে শুরু করলেও লঞ্চে কোনো প্রকার অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার সুযোগ নেই। নির্বিঘ্নেই যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে নামছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া জানান,কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ফেরিতে তেমন চাপ নেই। ফলে অনেকটা পরিবহন শূন্য ফেরিগুলো শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে কাঁঠালবাড়ী ছেড়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ফেরিতেও অধিক সংখ্যক যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান আহমেদ জানান, ক্রমান্বয়ে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার চাপ থাকবে বেশি। যাত্রীদের নিরাপত্তায় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। র্যাব,পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম সার্বক্ষণিক ঘাট এলাকায় রয়েছে। তাছাড়া কোনো পরিবহন যেন বাড়তি ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের হয়রানি না করে সেদিকেও আমাদের কঠোর দৃষ্টি রয়েছে।
একে এম নাসিরুল হক/আরএ/এমএস