একটি সেতুর জন্য…

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ০৯ জুন ২০১৮

এপাড়ে নাজিরহাট ওপাড়ে হাজিরখীল। দুই পাড়ের মানুষগুলোর মাঝে গভীর সম্পর্ক। একই উপজেলা, শিক্ষা-দীক্ষা, বাজার-ঘাট, কেনাকাটা সবই হয় একসঙ্গে। তবুও সারাটা জীবন তারা দুই পাড়ের বাসিন্দা। মন্দাকিনী খাল তাদের আলাদা করে রেখেছে। বর্ষার শুরুতেই তাই আবারও দুর্ভাগে পড়তে যাচ্ছেন ফটিকছড়ি উপজেলার এই এলাকার সাত গ্রামের মানুষ।

উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাটহাজারী ও ভূজপুর থানার মধ্যবর্তী নাজিরহাট-হাজিরখীল সড়কে মন্দাকিনী খালের ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়াই যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগে রয়েছেন পৌর এলাকার পশ্চিম মন্দাকিনীসহ সাত গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দী ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যুগের পর যুগ চলে গেছে, কিন্তু একটি মাত্র সেতুর অভাবে এ অঞ্চলের মানুষগুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন আসেনি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৯৬৭ সালে স্থানীয় দানবীর আলহাজ সিরাজ কোম্পানি এ সাঁকোটি নিজ অর্থায়নে স্থাপন করলেও স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারই এখানে সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেননি। বর্তমানে সাঁকোটি পায়ে হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন এলাকার শত শত শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক এবং জনসাধারণ চলাচল করেন। কিন্তু সম্প্রতি সাঁকোটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় মন্দাকিনী, পশ্চিম মন্দাকিনী (পৌর এলাকা) হাজিরখীল, শান্তিরহাট, উদালিয়া, জঙ্গল উদালিয়াসহ সাত গ্রামের মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই। সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে এলাকাসীকে এখন প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হাট-বাজার, স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যেতে হয়।

অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বর্ষা শুরু হলে এ অবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। সুয়াবিল সড়ক পানিতে ডুবে গেলে সুয়াবিলের বাসিন্দারা বিকল্প হিসেবে এ সড়ক ও সাঁকো ব্যবহার করে থাকেন বলে জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজ দৌলা জাগো নিউজকে বলেন, ‘নাজিরহাট-হাজিরখীল সড়কে মন্দাকিনী খালের ওপর সেতুটি অত্র এলাকার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম। এখানে একটি ব্রিজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তাব দেয়া আছে। আশা করছি অচিরেই এখানে একটা সেতু নির্মাণ হবে।’

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।