অবশেষে যৌনকর্মীর সন্তানরা পেল জন্ম নিবন্ধন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ০৬ জুন ২০১৮

অবশেষে যৌনকর্মীর সন্তানদের জন্য জন্ম নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে উদাহরণ সৃষ্টি করল ফরিদপুর পৌরসভা ও একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। অন্ধকার পল্লীতে জন্ম নেয়া এই শিশুদের জন্ম নিবন্ধন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।

যৌনপল্লীর সুবিধা বঞ্চিতদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শাপলা মহিলা সংস্থার উদ্যোগে ও ফরিদপুর পৌরসভার সহযোগিতায় দুই শতাধিক যৌনকর্মীর সন্তানকে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আনা হলো। বুধবার দুপুরে ফরিদপুর পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু ওই শিশুদের হাতে জন্ম নিবন্ধনের সনদ তুলে দেন।

ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লীর ১০৩ জন ও শহরতলীর সিঅ্যান্ডবি ঘাটের যৌনপল্লীর ১০৫ জন শিশুকে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় এনে তাদের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

জন্ম নিবন্ধন সনদ বিতরণকালে শাপলা মহিলা সংস্থার প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত সাহা, জয়নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী আলেয়া বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শাপলা মহিলা সংস্থার প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত সাহা জানান, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত এই যৌনকর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছে শাপলা। জন্ম নিবন্ধন না থাকায় এই শিশুরা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের সন্তানদের জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আনা হলো।

প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, সচেতনতার অভাবে যৌনকর্মীরা তাদের পল্লীতে জন্ম নেয়া শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করার ব্যাপারে অনাগ্রহী ছিল। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের পরে জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে যে বাড়তি অর্থ দিতে হয় সে কারণেও তাদের অনাগ্রহ ছিল।

তিনি বলেন, পৌর মেয়র বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জন্ম নিবন্ধন করতে উদ্বুদ্ধ করি।

ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু বলেন, যৌনপল্লীর শিশুরা অভিভাবকহীন হওয়ায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদেরও তাদের প্রতি কিছু দায়িত্ব বর্তায়। সে কারণেই পৌরসভার পক্ষ থেকে সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুদের বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।

আরএআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।