সন্ধ্যার পর গাড়ি চলে না যে রাস্তায়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ০৬ জুন ২০১৮

নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের তুলারামপুর-শেখহাটি সড়কের স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। পিচ উঠে বেরিয়ে এসেছে পাথর। কোথাও আবার বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই রিকশা, সিএনজি, অটোরিকশা ও নসিমন যাত্রীদের প্রচণ্ড ঝাঁকুনির মধ্যে পথ চলতে হচ্ছে। আর এসব কারণে সন্ধ্যার পর যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ১৪ বছর ধরে সড়কটি বেহালদশায় তাদের চরম ভোগান্তির পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্টরা কোনো উদ্যোগই নিচ্ছেন না। নড়াইল এবং যশোর জেলার একাংশের তিনটি ইউনিয়নের মানুষদের ঘর থেকে বাইরে বেরিয়েই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।

এ লাকাবাসীর জানান, জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য এটিই প্রধান সড়ক। ২০০২ সালে এটি সংস্কার করা হয়েছিল। তাই সড়কটি সংস্কারের অভাবে স্থানীয় ব্যক্তিদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে ।

শেখহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বুলবুল আহম্মেদ জানান, ভাঙা সড়কের কারণে নড়াইল ও যশোরের ২২টি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সংস্কারের জন্য অনেকবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নড়াইল কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

Narail-Rasta1

তিনি জানান, নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ও বিছালী ইউনিয়নের ১৬টি এবং যশোরের ছয়টি মিলে ২২টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করে। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সন্ধ্যার পর এ সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করে না।

সরেজমিন দেখা যায়, ১৬ কিলোমিটার সড়কের তুলারামপুর, মালিয়াট, হাতিয়ারা, মান্দিয়া, গুয়োখোলা, আফরা অংশে বেশি ভাঙা। স্থানে স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় ১৪টি গতের। এর মধ্যে ১০টি গর্ত প্রায় কোমর সমান। এলাকার মানুষ পথচারীদের সর্তক করতে গর্ত স্থানে বাঁশের মাথায় কাপড় টানিয়ে দিয়েছে। এ কারণে প্রায় ১৪ বছর ধরে এ সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ।

বাকলি গ্রামের নারীনেত্রী কবিতা বিশ্বাস, কানন বালা, সরস্বতি বিশ্বাসসহ অনেক সমাজকর্মী বলেন, রাস্তা ভাঙা থাকায় বয়স্ক ব্যক্তি, নারী, শিশু ও রোগীদের পথ চলতে সমস্যা হয়। বিশেষ করে রাতের বেলা প্রায়ই গর্তে পড়ে নছিমন উল্টে পড়ছে। অনেক সময় পথচারীরা হাটতে গিয়ে অসাবধানবশত গর্তে পড়ে আহত হচ্ছে।

নড়াইল সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দীন আহম্মেদ সড়কের দুরবস্থার কথা স্বীকার করে জানান, ১৬ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ১০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া ওই রাস্তায় কেন বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল আসছে বলে জানান তিনি।

হাফিজুল নিলু/আরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।