হবিগঞ্জে সাংবাদিককে থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ এএম, ০২ জুন ২০১৮

হবিগঞ্জে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম জীবনকে মিথ্যা অভিযোগে আটক ও থানায় আটকে রেখে তাকে নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। শুক্রবার প্রেসক্লাবে এক জরুরি বৈঠকের পর তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য গোলাম মোস্তফা রফিকের সভাতিত্বে ওই বৈঠকে বক্তৃব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, সাবেক সভাপতি রুহুল হাসান শরীফ, মো. ফজলুর রহমান, হারুনুর রশীদ চৌধুরী, মোহাম্মদ নাহিজ ও শোয়েব চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা জীবনকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ভুয়া ও সাজানো অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে মুক্তি না দেয়া হলে শনিবার থেকে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে।

এদিকে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম জীবনকে আটকের প্রতিবাদে বিকেল ৪টায় শহরের প্রধান সড়কে থানার সামনের রাস্তা অবরোধ করে রাখেন সাংবাদিকরা। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে পুলিশ শহরের গরুর বাজার এলাকায় সিরাজুল ইসলাম জীবনের বাসায় যায়। এ সময় তল্লাশীর কারণ জানতে চাইলে জীবনের সাথে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ নিজেদের ওপর হামলা করেছে দাবি করে জীবনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়।

সকালে গণপিটুনিতে আহত দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এদিকে বিকেলে তাকে পুলিশের ওপর হামলার মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

আদালতে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম জীবন উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ তাকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। এমনকি তার পায়ুপথে জলন্ত মোমের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাতে মাদক মামলার আসাসি ধরতে গেলে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম জীবনের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় জীবন তাদের ওপর হামলা চালালে তাকে আটক করা হয়।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।