মাদকে ভাটা, তাই অস্ত্র ব্যবসা!
মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর সারাদেশে গত ১৫ দিনে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ১০৯ জন নিহত হয়েছেন যার মধ্যে চট্টগ্রামের তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন তৎপরতায় মাদক চোরাকারবারিরা কেউ কেউ গা ঢাকা দিচ্ছে আবার কেউ পাল্টাচ্ছে ব্যবসা। বৃহস্পতিবার রাতে নগরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে এমনই একজন মাদক বিক্রেতা দিদারুল আলমকে (৪৪) অস্ত্র বিক্রির সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে ভীত হয়ে চট্টগ্রামের অধিকাংশ মাদক চোরাকারবারি এখন পালানোর পথ খুঁজছে। এদের অনেকে আবার অপরাধের ধরন পাল্টে ফেলছে। গ্রেফতার দিদারুল সাতকানিয়া উপজেলার ছমাদার পাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেলের ছেলে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকায় থাকেন। বৃহস্পতিবার (৩১ মে) রাত সোয়া বারটার দিকে স্টেশন রোডের দোকান কর্মচারি সমিতির অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দিদারুলের সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
কোতয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গ্রেফতার দিদারুল মূলত মাদক বিক্রেতা। তার বিরূদ্ধে মাদক আইনে মামলাও আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, এখন নাকি মাদক ব্যবসায় 'মন্দাভাব'। তাই ব্যবসা পরিবর্তন করে অস্ত্র ব্যবসায় নেমেছে।’
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৯ মে) চট্টগ্রাম মহানগরের পলোগ্রাউন্ড এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোহাম্মদ ইসহাক (৩৭) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়। এর আগে গত ১৭ মে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের একটি টিম বরিশাল কলোনীতে মাদক উদ্ধারের প্রস্ততি চালালে চোরাকারবারিরা টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে দুই শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়। পরে নগরের সদরঘাট থানার আইস ফ্যাক্টরি রোডে ‘মাদকের আখড়া’ হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া বরিশাল কলোনীতে অভিযান চালিয়ে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আবু আজাদ/ওআর/পিআর