টেরিবাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বাধা, গুলিবর্ষণ
চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার টেরিবাজার এলাকায় ঈদকে সামনে রেখে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে বাধার মুখে পড়েন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
ঈদের মাত্র ১৫ দিন আগে বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীতে পোশাকের অন্যতম বড় পাইকারি বাজারে এই ঘটনা ঘটল। অভিযানের পর থেকে টেরিবাজার এলাকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে টেরিবাজার এলাকায় অভিযান শুরু করে শুল্ক গোয়েন্দা, র্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বিত চোরাচালান বিরোধী টাস্কফোর্স। অভিযানের এক পর্যায়ে ‘মনে রেখ’, ‘স্টারপ্লাস’ ও ‘মেগামার্ট’ নামের তিনটি দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পোশাক জব্দ করেন টাস্কফোর্স সদস্যরা।
এ সময় দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে অভিযানকারী দলকে দোকানের কাগজপত্র দেখালেও তারা ভারতীয় কাপড় বলে তা গাড়িতে তুলে নেয়। এর এক পর্যায়ে, মালিকের সঙ্গে টাস্কফোর্সের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মাইকে বাজারের সব দোকান বন্ধ করার ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় মালিক-কর্মচারীরা দোকান বন্ধ করে সড়কে অবস্থান এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।
র্যাব-৭-এর লেফট্যানেন্ট কমান্ডার আশেকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘টেরিবাজারে অভিযানের সময় ভুল বোঝাবুঝি থেকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। দোকানের মালিক ও শ্রমিকরা দোকান বন্ধ করে সড়কে অবস্থান নিলে কোস্টগার্ড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।’
তবে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালানোর সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় র্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যরা টেরিবাজার এলাকার দোকান মালিক-কর্মচারীদের লাঠিপেটা করেন। তারা ভারতীয় কাপড়ের নামে দেশীয় কাপড় জব্দ করছিলো। কিন্তু দোকান মালিকরা তা বোঝাতে চাইলেও তারা কোনো কথা শোনেনি। এমনকি ঢাকার
মিরপুরে তৈরি পুঁতি-পাথরের কাপড়ও নিয়ে গেছে।’
এদিকে, এ ঘটানার পর থেকে টেরিবাজারের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে মালিকদের দোকান খোলার অনুরোধ করেন ব্যবসায় সমিতির নেতারা। পরে বিকেলে সিটি মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ব্যবসায়ী নেতারা।
আবু আজাদ/জেএইচ/জেআইএম