মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীসহ সারাদেশে নিহত ১২

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৩ এএম, ২৯ মে ২০১৮

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে সোমবার দিবাগত রাত ও মঙ্গলবার ভোরে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও নিজেদের মধ্যে ‘গোলাগুলিতে’ ১২ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর মধ্যে ঢাকায় একজন, কুমিল্লায় দুইজন, যশোরে দুইজন, কুষ্টিয়ায় দুইজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন, বরগুনায় একজন, ময়মনসিংহে একজন এবং সাতক্ষীরায় একজন নিহত হয়েছেন।

ঢাকা : রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সুমন ওরফে খুকু সুমন এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত ও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে দক্ষিণখান থানা এলাকার আশিয়ান সিটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন ওরফে খুকু সুমনের নামে দক্ষিণখান থানায় পাঁচটি মাদকের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

দক্ষিণখান থানা পুলিশ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- দক্ষিণখান থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আল আমিন ও কনস্টেবল সাখাওয়াতা তাদের কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান) মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানা পুলিশ আশিয়ান সিটি মাঠের সামনে মাদক উদ্ধারে গেলে একদল মাদক ব্যসায়ী পুলিশের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এ সময় দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশও পাল্টাগুলি ছুড়লে কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে সুমনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা, একটি ওয়ান শুটারগান পিস্তল, চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। সুমনের বিরুদ্ধে শুধু দক্ষিণখান থানায় পাঁচটি মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে।

কুমিল্লা : কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলার মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জর এলাকায় গোমতী প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশে ভাই ভাই ব্রিক ফিল্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- লিটন ওরফে কানা লিটন (৪৩) এবং বাতেন (৩৪)। এতে পুলিশের তিন কর্মকর্তা। আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও ৪০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুইজনই মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুর আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল উপজেলার গুঞ্জুর এলাকায় গোমতী বাঁধের পাশে অবস্থান নেন। সেখানে মাদক ব্যবসায়ী কানা লিটন ও বাতেন এবং তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় ৫৩ রাউন্ড গুলি চালায়। উভয়পক্ষের গুলিবিনিময়ে লিটন ও বাতেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে উভয়ের মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, লিটন উপজেলার পৈয়াপাথর এলাকার আবদুস ছামাদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৭টি মাদকের মামলা রয়েছে এবং বাতেন একই উপজেলার বাখরনগর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৮টি মাদকের মামলা রয়েছে।

অভিযানে থানার এসআই মোজাম্মেল, এএসআই রোকন ও এএসআই মাসুদুর রহমান আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড কার্তুজসহ একটি পাইপগান, ৪০০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

যশোর : যশোরে মাদক ব্যবসায়ীদের কথিত গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার মানিক ও মন্ডলগাতি এলাকার আসর আলী। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। একইসাথে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুইজনই মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমল হুদা জানান, মঙ্গলবার ভোরে যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় দুইদল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শেহালা মাঠে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শেহালা মাঠে এ এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন মুন্সীগঞ্জ গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে মুকাদ্দেস আলী (৪২) ও প্রাগপুর বাজারের মৃত ইয়াকুব আলীর ফজলুর রহমান ওরফে টাইটেল (৪৮)।

এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুইজনই মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) আজগর আলী জানান, একদল মাদক ব্যবসায়ী দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শেহালা মাঠে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করছে- এমন গোপন সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশের টহল দল রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশের এসআই ফিরোজ আলম, এসআই আব্দুর রাজ্জাক ও কনস্টেবল সজিত কুমার আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তুলের ম্যাগজিন ও ২৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। নিহত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইয়ের আটটি করে মামলা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলায় জনি মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা সদরের খালাজোড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত জনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার খাইয়ার এলাকার ফিরোজ মিয়ার ছেলে। তারা আখাউড়া উপজেলার রেলওয়ে কলোনি সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো বলে জানা গেছে।

পুলিশের দাবি, মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাতদের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে জনি নিহত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মাদক ও ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে আটটি মামলা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা-আখাউড়া সার্কেল) আবদুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে টহলরত পুলিশ সদস্যরা গোলাগুলির শব্দ শুনে খালাজেড়া এলাকায় গিয়ে দেখেন জনির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান, দুটি কার্তুজ, দুটি বড় ছোরা ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ডাকাতি ও মাদক ব্যবসার টাকা নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে জনি নিহত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানা ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় আটটি মামলা রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হারুন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার শীতলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হারুন হরিপুর উপজেলার শীতলপুর এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে এবং মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপজেলার শীতলপুর এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় হারুনসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের উপস্থিতি টের পেরে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে হারুন নামে এক মাদক ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল কুদ্দুস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত হারুনের বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।

বরগুনা : বরগুনায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ফিরোজ মৃধা নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের কুমড়াখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফিরোজ মৃধা বেতাগী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মৃত হাসেম মৃধার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, একটি শুটারগান, দুই রাউন্ড রিভলবারের গুলি ও তিন রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব-৮।

বেতাগী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত ফিরোজ মৃধার বিরুদ্ধে বেতাগী থানায় ৯টি মাদকের মামলা রয়েছে।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মিজান (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার পাড়াগাঁও চটনপাড়া সামাদ ফকির বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিজান শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ভালুকা থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, এএসআই শাহ আলম আহত হয়েছেন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন, তিনটি গুলির খোসা, একটি রামদা, একটি চাপাতি উদ্ধার করা করেছে পুলিশ।

জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, কিছু মাদক ব্যবসায়ী ভালুকা উপজেলার ওই এলাকায় মাদক ভাগাভাগি করছে- এমন খবরে জেলা ডিবি পুলিশ ভালুকা মডেল থানা পুলিশকে নিয়ে সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাথারি গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে মিজান নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে কথিত গোলাগুলিতে আনিছুর রহমান নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের চিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনিছুর উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত সুরত আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার, দুই রাউন্ড গুলি ও ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, রাতে দুই দল মাদক ব্যবসায়ী চিতলা এলাকায় মাদক ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় গোলাগুলির শব্দ শুনে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইয়াবা সম্রাট আনিছুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আনিছুরের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।

আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।