নাইট শিফটে সহকর্মীকে গণধর্ষণ, কারখানায় ভাঙচুর

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ০৪:৪২ পিএম, ২৮ মে ২০১৮

সাভারের আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানার ভেতরে এক পোশাক শ্রমিক (১৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন ১০ শ্রমিক। পরে অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে আটক করে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার কাঠগড়া দুর্গাপুর এলাকায় পেনটা ফোর্ড অ্যাপারেলন্স লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো- শাহিনুর (৩০) ও রুবেল হোসেন (২৯)।

পুলিশ জানায়, কাঠগড়া দুর্গাপুর এলাকায় ওই পোশাক কারখানায় কাজ করে প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক। গত বুধবার জরুরি শিফমেন্টের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নাইট করায়।

পরে কারখানার চারতলায় নাইট শিফটের কাজ করার সময় ওই কারখানার এক শ্রমিককে কারখানার ভেতরে ধর্ষণ করে কারখানার ফিনিশিং ইনচার্জ শাহিনুর ও ফ্লোর ইনচার্জ রুবেল হোসেন।

সোমবার ধর্ষণের বিষয়টি ওই নারী তার সহকর্মীদের জানালে শ্রমিকরা ওই দুই কর্মকর্তার গ্রেফতারের দাবিতে কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে কারখানায় গিয়ে ধর্ষণকারীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে, কারখানার ভেতরে শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হওয়ায় স্থানীয় শ্রমিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে ক্ষোভ বিক্ষোভ করেছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে ওই কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার জুয়েল জামাল বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে গেছে।

আশুলিয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) জাভেদ মাসুদ বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এএম/জেআইএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।