‘ইয়াবা ব্যবসা তো দূরের কথা সিগারেটও মুখে দিয়ে দেখিনি’

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ২৬ মে ২০১৮

গাজীপুরের কালীগঞ্জে মো. মোমেন মিয়া (৩৮) নামের এক যুবলীগের নেতাকে ফাঁসাতে ফেসবুকের একটি ফেক আইডি থেকে অপপ্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবে নাগরী ইউনিয়ন যুবলীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ।

তিন সন্তানের জনক যুবলীগ নেতা মোমেন উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামের মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি একজন মুদি দোকানি।

সংবাদ সম্মেলনে নাগরী ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মো. জুলহাস মিয়া বলেন, গত ২১ মে আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে জানতে পারেন ফেসবুকে ‘মাদক মুক্ত সমাজ’ নামের একটি ফেক আইডিতে তাকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তার ছবি সম্বলিত ফেস্টুনের ছবি ব্যবহার করে অপপ্রচার শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তারা থানা পুলিশকে অবগত করে একটি জিডি করার পরামর্শ দেন। পরের দিন ২২ মে নিজের নিরাপত্তা ও ক্ষতি সাধনের ভয়ে মোমেন মিয়া বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোর্শেদ খান স্বপন বলেন, নাগরী ইউনিয়ন যুবলীগ সব সময় মাদকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে। আর কমিটিতে যারা আছে তারা সবাই পরীক্ষিত। এখানে কোনো মাদক সেবনকারী বা ব্যবসায়ীর স্থান নেই। কেউ নাগরী যুবলীগের ইমেজ নষ্ট করতে এসব করছে।

যুবলীগ নেতা মোমেন মিয়া বলেন, ‘ওই ফেইক আইডিতে যেভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তাতে মনে হয় কেউ আমার এবং দলের ক্ষতির জন্যই এসব করছে। মাদক বা ইয়াবা ব্যবসা তো দূরের কথা কোনোদিন এক সলা সিগারেট মুখে দিয়েও দেখেননি বলে দাবি করেন তিনি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান, ওই ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেক লীগের সাবেক সভাপতি মফিজ মিয়া, ব্যবসায়ী মুনসুর আলী, পরিবারের সদস্য জাহিদুল ইসলাম ও সজিব মিয়া।

জানা যায়, মোমেন মিয়া ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের একজন সদস্য। সম্প্রতি ইউনিয়ন যুবলীগের শেষ হয়ে যাওয়া সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ছিলেন। সেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় তার পদ নির্ধারণ হয়নি। তবে সেখানে তাকে দায়িত্বশীল পদে রাখা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুবকর বলেন, আমার জানা মতে থানায় তার নামে মাদক মামলা তো নেই, কোনো মামলাই নেই। হতে পারে কেউ তার ক্ষতির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার করছে।

আব্দুর রহমান আরমান/আরএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।