নিহত আখতার কামাল আমার বেয়াই না : এমপি বদি
কক্সবাজারে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ‘ইয়াবার গডফাদার’ আক্তার কামালের সঙ্গে নিজের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন উখিয়া-টেকনাফের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুর রহমান বদি।
শুক্রবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী আক্তার কামালের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর আসে নিহত আক্তার কামাল সম্পর্কে এমপি বদির বড় বোন শামসুন্নাহারের দেবর ছিলেন।
নিহত আক্তার কামালের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে এমপি বদি সাংবাদিকদের বলেন, উনি আমার বেয়াই না। আমার বড় বোনের নাম শামসুন্নাহার ঠিকই। কিন্তু তার দেবরের নাম আক্তার কামাল নয়, তার দেবরের নাম নুরু।
তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা উখিয়া ও টেকনাফে আমার নামে কারও কাছে কোনো অভিযোগ নেই। আমি সব সময়েই মাদকের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছি। এমনকি সংসদে দাঁড়িয়েও সে কথা বলেছি। এরপরে আর কোনো কথা থাকে না।
মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোরে দরিয়ানগর ব্রিজ এলাকায় গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ টহলে যায়। এক পর্যায়ে সেখানে সড়কের পাশে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহের পাশে এক হাজার পিস ইয়াবা, একটি এলজি ও চার রাউন্ড গুলি পড়েছিল। পরে স্থানীয়রা এসে মরদেহটি এমপি বদির বেয়াই আক্তার কামালের বলে শনাক্ত করেন। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ইয়াবা, বন্দুক ও গুলিগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে আক্তার কামালের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত আক্তার কামাল টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে দুটিতে মানব পাচার এবং তিনটিতে মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরএআর/পিআর