ফেনীতে ১০ দিনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৬

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ২৪ মে ২০১৮

ফেনীতে গত ১০ দিনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ র‌্যাব ও পুলিশের হাতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ভোরে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সীমান্তবর্তী জাম্বুড়া এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মনির হোসেন (৩২) ও শাহমিরন শামীম নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে ২শ’ বোতল ফেনসিডিল ও ৭শ’ পিস ইয়াবা, ১টি পিস্তল ও ১টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

নিহতদের মধ্যে একজন ফুলগাজীর আনন্দপুর ইউনিয়নের মাইজ গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে শাহ মিরন শামীম। অপরজন সদর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের মৃত ফটিক মিয়ার ছেলে মজনু মিয়া ওরফে মনির হোসেন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফুলগাজী থানায় ১০টিরও অধিক মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

গত ২২ মে রাতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাকার অলি আহম্মদের ছেলে ফারুক (৩৫)। শহরতলীর দাউদপুরের কালিপাল এলাকায় প্রাইভেটকার থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়লে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

পরে তাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। র‌্যাব প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবা, ১টি দেশীয় পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৪ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে।

গত ২১ মে রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু (৪৯)। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি, ৫টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।

মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার রুপকানিয়া গ্রামের হাজী আবদুল করিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জেলায় ডাকাতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

গত ১৯ মে ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠান নগর বাজার সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলমগীর হোসেন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১ হাজার পিছ ইয়াবা, ১শ বোতল ফেনসিডিল, একটি অস্ত্র ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আলমগীর হোসেন ওই এলাকার মৃত আব্দুস ছালাম ভূঞাঁর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও ফেনী সদর থানায় ৯ টি মামলা আছে বলে জানায় পুলিশ।

গত ১৫ মে দাগনভূঞা উপজেলার খুশিপুর ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মুছা আলম মাসুদ (৩০) নামে এক সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাসহ একাধিক হত্যা ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, মাদক নির্মূলে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। গত এক বছরে ফেনীতে মাদকের সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৩শ’ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। দেশ ও সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।