কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ এএম, ২৪ মে ২০১৮

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাবুল প্রকাশে লম্বা বাবুল (৩৫) এবং সদর দক্ষিণে রাজিব (২৬) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন আমানগন্ডা সলাকান্দা নতুন রাস্তার মাথায় এবং রাত সোয়া ২টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাাম পুুরাতন ট্যাংক রোডের গোয়ালমথন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবুল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বৈদ্দেরখিল গ্রামের হাফেজ আহাম্মদের ছেলে এবং রাজিব সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি সংলগ্ন চাঙ্গিনী গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে। দুজনই তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশ দাবি করেছে। উভয় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও মাদক।

চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার রামরায় এলাকা থেকে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বাবুুলকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার একটি মাদকের চালান উপজেলার আমানগন্ডা এলাকায় রয়েছে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সাল রাত আড়াইটার দিকে মুঠোফোনে জানান, মাদক ব্যবসায়ী বাবুলকে নিয়ে আমানগন্ডার নতুন রাস্তার মাথার মন্তাজের বাগানে রাত ১টার দিকে অভিযানকালে বাবুলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা ২৩ রাউন্ড গুলি চালায়।

উভয়পক্ষের গুলিবিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ী বাবুল ছাড়াও থানার এসআই মোজাহের, কনস্টেবল মিজান ও ফরিদ আহত হন। আহত বাবুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমেক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি এবং ২০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, নিহত বাবুরেলর বিরুদ্ধে মাদক আইনে ৫টি মামলা রয়েছে।

অপরদিকে রাত সোয়া ৩টার দিকে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চলাকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাত সোয়া ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন ট্যাংক রোডের গোয়ালমথন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা একটি প্রাইভেটকারে মাদকদ্রব্য নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

তিনি (ওসি) আরও জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী রাজিব (২৫) ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষায় পুলিশও ১৭টি রাউন্ড গুলি চালায়। এতে গুলিবিব্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মাদক ব্যবসায়ী রাজিব। এছাড়াও থানার ওসি নজরুল ইসলাম, থানার এসআই শামসুদ্দিন ও এসআই অঞ্জন কুমার নাহা আহত হন। আহত রাজিবকে কুমেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও জানান, নিহত রাজিবের বিরুদ্ধে থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজসহ একটি এলজি, ৫০ বোতল ফেনসিডিল এবং ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে নিহত উভয়ের মরদেহ কুমেক হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মো. কামাল উদ্দিন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।