আমজাদ হোসেনের জার্মানি পতাকা এবার সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ২৩ মে ২০১৮

ফুটবল বিশ্বকাপের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে মাগুরায় ফুটবলপ্রেমীরা তাদের প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে নিচ্ছেন নানা প্রস্তুতি। বিশেষ করে সারা বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল এই দুই শিবিরে বিভক্ত তখন কৃষক আমজাদ হোসেনের জার্মানি প্রীতি কেবল ব্যতিক্রমই নয় বরং দলের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা অবাক করার মতোই।

এবার বিশ্বকাপে মাগুরা সদর উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামের আমজাদ হোসেন নামের এক ভক্ত তার প্রিয় দল জার্মানিকে সমর্থন জানাতে জায়গা জমি বিক্রি করে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ জার্মানি পতাকা তৈরি করছেন।

আমজাদ হোসেনের ছোট মেয়ে সুমাইয়া খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, তার বাবা ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ পতাকা বানিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। পরবর্তীতে জার্মান ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হলে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত নিজে ঘোড়ামারা গ্রামে গিয়ে জার্মানির পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করেন এবং লিখিতভাবে জার্মান ফ্যান ক্লাবের সদস্য পদ প্রদান করেন।

Magura-Flag-Amzad1

তিনি বলেন, এবার বিশ্বকাপ উপলক্ষে তার বাবা মেহেরপুর জেলার এক দর্জির কাছে আরও দুই কিলোমিটার বাড়িয়ে মোট সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ জার্মান পতাকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। যা আগামী জুন মাসের ৫ তারিখ স্থানীয় নিশ্চিতপুর হাইস্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হবে।

কেন বা কিভাবে তিনি জার্মানির ভক্ত-সমর্থক হয়ে উঠলেন? এমন প্রশ্নের জাবাবে জাগো নিউজকে আমজাদ হোসেন বলেন, ২০০৫ সালে তার একটা ব্যাধি হয়। বাংলাদেশের কোনো ডাক্তারের চিকিৎসায় তিনি ভালো হচ্ছিলেন না। শেষে এক হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শে জার্মানি থেকে আনা ওষুধ সেবন করে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এর কিছু দিন পর ২০০৬ সালে জার্মানিতে বিশ্বকাপ শুরু হলে তিনি ও তার পরিবার জামার্নির ভক্ত হয়ে ওঠেন। এ পতাকা হচ্ছে সেই উপহার।

৫৫ বছর বয়সী আমজাদ হোসেন আগামী ২০২২ সালের বিশ্বকাপে মাগুরা-যশোর সড়কের মাগুরা থেকে সীমাখালী পর্যন্ত দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার জার্মানির পতাকা টানাবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

আরাফাত হোসেন/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।