শেরপুরে আ.লীগ নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ২২ মে ২০১৮

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোন্দল নিরসনে সভানেত্রীর রাজধানীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলার আওয়ামী লীগ নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।

মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন।

পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জেলা আওয়ামী লীগের ১৯ মে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ৫ নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তসমূহ পুনর্বিবেচনার জন্য জেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককে অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে শহরের খরমপুর এলাকায় খাদ্যগুদাম মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগের নামে যে অফিসটি চালু করা হয়েছে সেটি বন্ধের নির্দেশ দেন।

বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক প্রতিনিধি দলের সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও প্রচার সম্পাদক অসিম কুমার উকিল উপস্থিত ছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া ৫ নেতা ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল, নকলা উপজেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ঝিনাইগাতী উপজেলার সভাপতি এসএমএ ওয়ারেজ নাইম এবং শ্রীবরদী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন প্রমুখ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের জেলা নেতৃবন্দের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার জন্য বলেছেন। বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতারা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। যাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তাদেরকে জেলা কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে। যদি তারা জেলা কমিটির কাছে আবেদন করেন তাহলে সিদ্ধান্ত রিভিও করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আর তা না হলে দলীয় সেই সভার রেজুলেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভানেত্রীর কাছে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া শহরের চকবাজার এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের বাইরে ওরা যে অফিসটি করেছিল সেটি আজ থেকেই তাদেরকে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ১৯ মে’র সভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে শেরপুর থেকে প্রত্যাহার, সংসদ সদস্য ফজলুল হক চাঁনসহ ৫ নেতাকে বহিষ্কার ও নালিতাবাড়ী উপজেলা কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মতিয়া সমর্থক নেতৃবৃন্দ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুইপ আতিককে অপসারণের দাবিতে মাঠে নামে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উভয় পক্ষে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে অস্থিরতা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দ্বন্দ্ব নিরসনে আজকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাকিম বাবুল/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।