বর্ষার আগে রাজবাড়ীর আঞ্চলিক মহাসড়ক চলাচল উপযোগী করার দাবি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ২২ মে ২০১৮

রাজবাড়ীর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে পাংশার শিয়ালডাঙ্গী পর্যন্ত সড়ক উন্নীতকরণের ৪ ধাপের ২টি কাজ শুরু হলেও চলছে ধীর গতিতে। এতে যাত্রী, পথচারী, সড়কের পাশের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা যেমন ভোগান্তিতে পড়ছে, তেমনি যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই রাস্তাটি চলাচল উপযোগী করে তোলার। তা না হলে বর্ষায় বৃষ্টিতে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হবে। আর সেই সঙ্গে তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।

জানা যায়, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে পাংশার শিয়ালডাঙ্গী পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত ও উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী সড়ক বিভাগের অধীনে ৪টি ধাপে ৩৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। ৪টি ধাপের মধ্যে চলছে দুটি ধাপের কাজ। যা দেড় বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে।

RAJBARI-SOROK--(2)

যার প্রথম অংশ গোয়ালন্দ মোড় থেকে শ্রীপুর জেলা পরিষদ কার্যালয় পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত ও দুই লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এর কাজ অনেকটাই দৃশ্যমান এবং সড়ক বিভাগের দাবি মীর আক্তারের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ করেছে।

অপরদিকে দ্বিতীয় ধাপে শ্রীপুর জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে চরমাগমারা তালতলা পর্যন্ত রাস্তাটি ফোরলেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হলেও সড়ক বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, রাস্তার নিচের পানি ও বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন লাইন থাকায় উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এরপরও দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করছেন। এটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অহিদ কনস্ট্রাকশন।

RAJBARI-SOROK--(2)

অন্যদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের কাজ একই সঙ্গে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের চরমাগমারা তালতলা থেকে পাংশার শিয়ালডাঙ্গী পর্যন্ত রাস্তা ও বাগমারা থেকে জৌকুড়া ধাওয়াপাড়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি প্রশস্ত ও দুই লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে।

স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা জানায়, রাস্তার উন্নয়নের যে কাজ হচ্ছে তা খুবই ধীর গতিতে হচ্ছে। এতে ধুলাবালির কারণে হাটা-চলা ও ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি পুরোদমে শুরু হলে তো কাজ বন্ধ থাকবে তখন আরও সমস্যা হবে। তাই বর্ষার মৌসুম শুরুর আগেই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার দাবি সবার।

RAJBARI-SOROK--(2)

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসেন জানান, রাস্তার খোঁড়ার সময় পৌর এলাকার অনেক স্থানে পানির পাইব, টেলিফোনের তার রয়েছে। তাই রাস্তা খোঁড়ায় সমস্যা হচ্ছে। এরপরও কাজের সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সময়ে এক-দুই মাস আগে কাজ সম্পন্ন করবেন বলে আশা করছেন।

রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খাইরুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন জানান, রাজবাড়ী সড়ক বিভাগের অধীনে ৪টি প্যাকেজে ৩৯৫ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। যার ৪টি প্যাকেজর মধ্যে দুটি প্যাকেজের কাজ চলছে। বর্ষার আগে কাজের গতি আরও বাড়ানো হবে। যথাযথ সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন এবং কাজের ধীর গতি তেমন একটা নেই তবে কাজের গুনগত মান বজায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ গতিতে যেন কাজ চলে সেদিকে তারা খেয়াল রাখছেন।

রুবেলুর রহমান/আরএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।