রাজশাহীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত লিয়াকত ছিলেন ‘সৎ চরিত্রবান’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ২১ মে ২০১৮

রাজশাহীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলী মণ্ডল (৪১) ‘সৎ’ ও ‘চরিত্রবান’ ছিলেন। এ নিয়ে তাকে প্রত্যয়নপত্রও দেন পুঠিয়া পৌরমেয়র রবিউল ইসলাম।

নিহত লিয়াকত আলী মন্ডল জেলার পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের নামাজ গ্রাম এলাকার জাক্কার মন্ডলের ছেলে। তিনি বানেশ্বর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তাকে প্রত্যয়নপ্রত্র প্রদানকারী পৌরমেয়র রবিউল ইসলাম পুঠিয়া পৌর যুবলীগের সভাপতির পদে রয়েছেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেয়া প্রত্যয়নপত্রে মেয়র রবিউল ইসলাম রবি লিখেন, ‘আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি ও জানি। সে একজন সৎ চরিত্রের পরিশ্রমী ছেলে। আমার জানামতে, সে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত নহে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের চাপেই তিনি ওই প্রত্যয়নপত্র দেন।

আর র‌্যাব-৫ এর উপঅধিনায়ক মেজর আশরাফুল ইসলাম জানান, ইয়াকুব আলী মন্ডলের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক, চোরাচালান ও অপহরণসহ ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি রাজশাহী অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী।

শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরীর উপকণ্ঠ বেলপুকুর থানার ক্ষুদ্র জামিরা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে মারা যান তিনি।

র‌্যাবের ভাষ্য, শনিবার মধ্যরাতে র‌্যাবের অপরাধ দমন বিশেষায়িত কোম্পানীর (সিপিএসসি) একটি দল বেলপুকুরের ক্ষুদ্র জামিরা এলাকায় রাত্রিকালীন টহল দিচ্ছিল। এসময় সেখানকার একটি আমবাগানের ভেতরে টর্চের আলো এবং কিছু লোকের আনাগোনা দেখতে পায় র‌্যাব। র‌্যাব সদস্যরা সেদিকে অগ্রসর হলে অজ্ঞাত কিছু লোক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় র‌্যাব তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। পরে আত্মরক্ষায় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।

প্রায় ৫ মিনিট গুলিবিনিময় শেষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইয়াকুব আলীকে উদ্ধার করে। দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড গুলি, একটি গুলির খালি খোসা, ৮২৩ পিস ইয়াবা এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তবে নিহত ওই যুবলীগ নেতা রোববার থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী নেহের বানু। তিনি বলেন, রোববার দুপুরের আগে থেকে লিয়াকত নিখোঁজ ছিলেন। পরে রাতে তারা খবর পান, লিয়াকত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।