আ.লীগ প্রার্থীর বিরিয়ানি খেয়ে হাসপাতালে দুই শতাধিক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ১২:৫৪ পিএম, ১৭ মে ২০১৮

আগামী সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী পারভিন তালুকদার মায়ার কর্মীসভার বিরিয়ানি খেয়ে এবার দুই শতাধিক লোক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বুধবার বিকেলে কোটচাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে কর্মীসভায় দেয়া এ বিরিয়ানি খেয়ে মায়া নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন। তবে এর কারণ খুঁজতে একটি তদন্ত কমিটি করেছে পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে মহেশপুর হাইস্কুল মাঠে কর্মীসভা শেষে দেয়া বিরিয়ানি খেয়ে অর্ধশতাধিক লোক হাসপাতালে ভর্তি হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোটচাঁদপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন বলেন, পেটে ব্যথা, বমি আর পাতলা পায়খানার মতো সমস্যা নিয়ে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

তিনি বলেন, এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন আরও পাঁচজন। তারা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি মায়া জানান, আগামী নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তিনি গণসংযোগ করছেন। এর অংশ হিসেবেই নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে কর্মীসভা ও জনসভা করছেন।

গতকালের কোটচাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডের কর্মীসভা শেষে পাঁচ হাজার প্যাকেট বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়েছিল। আমার মহেশপুরের বাসায় স্থানীয় বাবুর্চি দিয়ে ওই বিরিয়ানি রান্না করা হয়েছে। এটা খেয়ে আমি নিজেও অসুস্থ হয়েছি।

বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হঠাৎ অতিরিক্ত রোগীর ভিড় বেড়ে যাওয়ায় নার্স-চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন। বিছানার অভাবে অনেক রোগীদের রাখা হয়েছে মেঝে ও সিঁড়িতে।

মামুনশিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন বলেন, সভা শেষে তিনি এক প্যাকেট বিরিয়ানি পান। খাওয়ার পর রাত ৮টার দিকে পেটব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এরপর স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

গোবিন্দপুর গ্রামের শামসুল ইসলাম দুই প্যাকেট বিরিয়ানি পেয়েছিলেন জানিয়ে বলেন, বাড়ি ফিরে স্ত্রীসহ পরিবারের পাঁচজন মিলে সেটা খান। এরপর রাত ৩টার দিকে বমি ও পায়খানা শুরু হয় সবার।

জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, পরপর দুটি জনসভার বিরিয়ানিতে কেন সমস্যা তৈরি হল তা খতিয়ে দেখতে তারা একটি তদন্ত কমিটি করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাসকে প্রধান করে গঠিত পাঁচ সদস্যের এ কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আহমেদ নাসিম আনসারী/এএম/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।