লাঙ্গলের চেয়ে ১৩ হাজার ভোটে এগিয়ে হাতপাখা
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমানের (লাঙ্গল) চেয়ে ১৩ হাজার ২৯১ ভোট বেশি পেয়েছেন হাতপাখা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মুজ্জাম্মিল হক।
নগরীর ২৮৬ কেন্দ্রের ভোটের প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এ ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেয়র প্রার্থীর পরই তিন নম্বর অবস্থানে রয়েছেন হাতপাখা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মুজ্জাম্মিল হক।
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক মেয়র পদে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে ঘোষিত ফলাফলে তিনি বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর চেয়ে ৬৭ হাজার ৯৪৬ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন।
মোট ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ঘোষিত ২৮৬টি কেন্দ্রের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে নৌকা প্রতীকের তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট। ধানের শীষ প্রতীকের নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট।
পাশাপাশি অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মুজ্জাম্মিল হক পান ১৪ হাজার ৩৬৩ ভোট, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল) পান ১০৭২ ভোট এবং কাস্তে প্রতীকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান পান ৫৩৪ ভোট। ফলাফলে জাপার চেয়ে ১৩ হাজার ২৯১ ভোটে এগিয়ে আছে ইসলামী আন্দোলন অর্থাৎ হাতপাখা প্রার্থী।
নগরীতে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। ভোটকেন্দ্র সংখ্যা ছিল ২৮৯টি। এর মধ্যে ৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। বাকি ২৮৬ কেন্দ্রের বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়। এতে দেখা যায়, মোট ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশ।
এ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয়া, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদানসহ নানা অভিযোগ করা হলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুন্দর হয়েছে।
সেই সঙ্গে এ নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে খুলনাকে নতুনভাবে সাজাতে চাই।
এএম/জেআইএম