নারায়ণগঞ্জ ও কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া ও নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০:৩৪ এএম, ১৫ মে ২০১৮

কুষ্টিয়া ও নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে র‌্যাবের মোট ৫ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব গুলিসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধার করেছে। এসময় র‌্যাবের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত মো. রাজমহল রিকন মেহেরপুর জেলা সদরের কাঁসারী পাড়া এলাকার নিহাজউদ্দিন তুফানের ছেলে।

র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আলেপ উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম থেকে একটি ট্রাকে করে ইয়াবার চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি এলাকায় চেকপোস্টের কাছাকাছি অবস্থান নেয়। ভোরে একটি ট্রাক চেকপোস্ট পার হয়ে ঢাকার দিকে যাওয়ার সময় র‌্যাব গতিরোধ করলে ট্রাকের ভেতর থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে রিকন গুলিবিদ্ধ হলে তার অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

পরে র‌্যাব ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, দশ হাজার পিস ইয়াবা এবং নগদ দুই লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করে। গুলিবিদ্ধ রিকনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বন্দুকযুদ্ধে র‌্যাব-১১ এর ডিএডি রবিউল, ডিএডি আজিজ এবং আরেক সদস্য আহত হন।

এদিকে কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হামিদুল বাহিনীর প্রধান হামিদুল ইসলাম (৪৫) নিহত হয়েছেন। র‌্যাবের দাবি হামিদুল শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় র‌্যাবের ২ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে শহরের গড়াই নদীর বাঁধ সংলগ্ন চর মিলপাড়ার বালুর মাঠে এ বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। ২০০৭ সালে হামিদুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড তার ছোট ভাই রাশিদুল ইসলামও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছিলেন।

র‌্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার এম মুহাইমিনুর রশিদ জানান, গড়াই নদীর পাড় সংলগ্ন বালুরমাঠে সন্ত্রাসীদের একটি দল অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে র‌্যাবের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

র‌্যাবের দাবি, হামিদুল ইসলাম পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত দুই র‌্যাব সদস্যকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি ও একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত হামিদুল ইসলাম সদর উপজেলার ইটভাটা এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে।

শাহাদাৎ/সাগর/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।