খুলনায় কে হাসবেন শেষ হাসি?

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ০৯:২৭ পিএম, ১৪ মে ২০১৮

খুলনায় সব শঙ্কা কাটিয়ে উৎসবের ভোট আগামীকাল মঙ্গলবার। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণের সব মালামাল সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে।

পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ইতোমধ্যে কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে টহল দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

চারদিকে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নগরজুড়ে একটিই আলোচনা কে হচ্ছেন নগরপিতা। শুধু অপেক্ষা ভোট গণনার। সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে ৫ জন মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে কেসিসির মেয়র পদে নির্বাচন হওয়ায় প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।

একদিকে খালেকের খুলনার ‘উন্নয়ন’ অন্যদিকে মঞ্জুর ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন’ এবারের নির্বাচনে প্রধান এ দুটি ইস্যুর কোনটির পক্ষে রায় দেবেন ভোটাররা-সে দিকেই তাকিয়ে আছে খুলনার ১৬ লাখ মানুষ।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৮টি। ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন ৪ হাজার ৯৭২ জন কর্মকর্তা।

এর মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার রয়েছেন ২৮৯ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ১ হাজার ৫৬১ জন এবং পোলিং এজেন্ট রয়েছেন ৩ হাজার ১২২ জন।

এ নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৫৬১টি। আর অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে ৫৫টি। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) তথ্যমতে, ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩৪টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ)।

র‌্যাব-৬ এর পরিচালক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম ও কেএমপির মুখপাত্র সোনালী সেন জানান, নির্বাচনে তিন হাজার ৪৩৭ জন পুলিশ, ১৬ প্লাটুন বিজিবি ও ৩০০ এপিবিএন সদস্য এবং আনসারের চার হাজার ৮৪৫ জন দায়িত্ব পালন করছেন।

এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ৩১টি মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র‌্যাবের ৩২টি সেক্টর পার্টি, ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কাজ শুরু করেছে।

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে যে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী এস এম সফিকুর রহমান মুশফিক (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) এবং সিপিবি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।

খালেক ও মঞ্জু কে কোথায় ভোট দেবেন :

প্রধান দুই মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক ২২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় পাইওনিয়ার গালর্স স্কুলে ভোট প্রদান করবেন। বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ২৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি সকাল সাড়ে ৮টায় রহিমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নাগরিক ফোরামের প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।

আলমগীর হান্নান/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।