খুলনায় আ.লীগ-বিএনপি প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক অভিযোগ করে বলেছেন, সিটি নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু উদ্দেশ্যমূলকভাবেই মিথ্যা ইস্যু সৃষ্টি করে চলেছেন। বারবার অসত্য তথ্য পরিবেশন করে নগরবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। আমাদের যদি কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে সকাল ৭টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত গণসংযোগ করতাম না।
অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে বলেছেন, দলীয় প্রার্থীদেরকে জয়ী করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগাতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা এবং দলীয় বাহিনী দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে বাকশালীদের জয় নিশ্চিতের গভীর পরিকল্পনা চলছে।
বুধবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করেন তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনার রশীদ, কাজী আমিনুল ইসলাম, সুজিত রায় নন্দী, ইসহাক আলী খান ও মুন্সী মাহবুবু আলম সোহাগ প্রমুখ।
খালেক বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী পোষে না। বিএনপি আমলে খুলনায় রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। সে সময় তারা র্যাব সৃষ্টি করেছে। এখন র্যাব যখন বিএনপির সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করছে তখন র্যাব খারাপ হয়ে গেছে। ওদের আইন ওদের পছন্দ হচ্ছে না।
খুলনার রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং বিএনপি ও জামায়াতের লোক দাবি করে খালেক বলেন, এদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। এদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার সকালে কেসিসির ২নং ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় সভায় মিলিত হন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় বক্তৃতা করেন ২০ দলীয় জোটের বিজেপির সভাপতি মো. লতিফুর রহমান, সাতক্ষীরার সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন, জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ, মহানগর নেতা সিরাজউদিদন সেন্টু, খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি মীর কায়ছেদ আলী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ ইকবাল হোসেন ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম।
বিএনপির নির্বাচনী মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব এহতেশামুল হক শাওন জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার চর এলাকায় গণসংযোগে গেলে হামলার শিকার হন।
ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে বিএনপির প্রচার টিমকে ঘিরে ফেলে। তিনি নিজেই ওয়ার্ড বিএনপি কর্মী আলী আকবরের জামার কলার চেপে ধরে মারধর করে এবং মুহূর্তের মধ্যে এলাকা ত্যাগ করার হুমকি দেয়। বিকুর ক্যাডাররা বিএনপির কর্মীদের প্রতি মারমুখী হয়ে উঠলে তারা গণসংযোগ কর্মসূচি বাতিল করে নতুন বাজার চর ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর আগে তার ক্যাডাররা নানাভাবে ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রাখে।
আলমগীর হান্নান/এএম/এমএস