ছাত্রীকে গণধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয় মেম্বার ও তার সহযোগীরা
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবির মামলায় রাজিহার ইউনিয়নের মেম্বার শামীম তালুকদারসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে মামলার প্রধান আসামি রাজিহার ইউনিয়নের মেম্বার শামীম তালুকদারসহ চার আসামি অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিনের আবেদন করে। বিচারক শিহাবুল ইসলাম জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের করাগারে পাঠিয়ে দেন।
অপর তিন আসামি হলো- মিজান সরদার, ইলিয়াস সরদার ও মাঈনুদ্দিন সরদার। এ মামলার বাকি চার আসামি মুন্না তালুকদার, খবির সরদার, মিলন হাওলাদার ও নয়ন হাওলাদার কারাগারে রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) খোন্দকার আবুল খায়ের জানান, রাজিহার ইউনিয়নের পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী লিমন সরদার, নয়ন হাওলাদার ও ফেরদৌস হাওলাদারকে নিয়ে নৌকাযোগে শাপলা তুলতে চৌদ্দমেদা বিলে যায়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয়া ইউপি মেম্বার শামীমের নির্দেশে তার সহযোগীরা ওই শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করে।
এরপর শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা সহপাঠীদের দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করিয়ে সেই দৃশ্য ফোনে ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়। এরপর ছাত্রীর পরিবারের কাছে ৯০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দেয়ায় ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয় মেম্বার ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ওই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করে।
মামলার পর নির্যাতিত ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট, পুলিশ বিভাগের আলোকচিত্র শাখাবিদদের মতামত, সিআইডির মতামত পর্যালোচনা, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও পুলিশের তদন্তে আসামিদের সম্পৃক্তা পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ৭ মে তা গ্রহণ করেন বিচারক।
বুধবার এ মামলার চার আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান বিচারক। বর্তমানে এ মামলার সব আসামি কারাগারে রয়েছে বলেও জানান ওসি।
সাইফ আমীন/এএম/এমএস