ফরিদপুরে কলেজ শিক্ষিকা ও ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার
ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকার একটি বাসা থেকে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের এক শিক্ষিকা ও সোনালি ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখার অডিট কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১১টার দিকে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কলেজ শিক্ষিকার নাম সাজিয়া বেগম। তিনি সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক এবং দুই ছেলে নিয়ে ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার স্বামী ঢাকায় ব্যবসা করেন। তাদের বাড়ি রাজধানীর সুত্রাপুর থানার বানিয়া নগর। নিহত সোনালি ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখার অডিট কর্মকর্তার নাম ফারুক হাসান। তার বাড়িও রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায়। কলেজ শিক্ষিকা ও ব্যাংক কর্মকর্তা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকতেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, বাড়ির মালিক থানায় খবর দিলে আমরা এসে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকার নুর ইসলামের দ্বিতল বাড়ির নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে লাশ দুইটি উদ্ধার করা হয়। শিক্ষিকার মরদেহ দরজার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় এবং ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলতে পারবো।
বাড়ির মালিকের ছেলে ডেবিড বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে নিচ তলার ওই ফ্ল্যাটের দরজা খোলা দেখতে পাই। এ সময় দরজার ফাঁক দিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ ঝুলতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেই।
তিনি বলেন, নিহত কলেজ শিক্ষিকা ১ বছর আগে এ বাসা ভাড়া নেন। আর ব্যাংক কর্মকর্তা ১ মাস আগে। ব্যাংক কর্মকর্তা ১ মাস আগে বাসা ভাড়া নিলেও তিনি থাকতেন না। দুই দিন আগে তিনি বাসায় উঠেছেন।
নিহত কলেজ শিক্ষিকার স্বামী শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, বিকেল ৪টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা হয়। এরপর রাত হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি, তার কলিগদের জানাই। কোথায় খুঁজে না পেয়ে থানায় জানাই।
আরএ/আরএস/জেআইএম