ঘূর্ণিঝড় কোমেন মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুরেও প্রস্তুতি


প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৫

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিন্মচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এ রুপ নেয়ায় উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের মানুষকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা অরুবেন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রামকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই; সে কারণে চট্টগ্রামের একই বিপদ সংকেত লক্ষ্মীপুরে অনুসরণ করতে হবে। উদ্ভুত পরিস্থিতে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করার জন্য জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এদিকে রাত ১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় উপকূলীয় এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা নদীতে জোয়ারের তীব্রতা ও উঁচু ঢেউ নেই। এমনকি বাতাসের গতিও স্বাভাবিক। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।

অন্যদিকে রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলে মাইকিং করে লোকজনকে সতর্ক করা হচ্ছে। মেঘনাপাড়ের মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যেতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তত রাখা হয়েছে।

কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে এলাকায় মাইকিং করে বিপদ সংকেতের কথা জানানো হয়েছে। মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে নিরাপদে এসে নোঙর করতে বলা হয়েছে।

কাজল কায়েস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।