অবশেষে উদ্ধার হলো মিত্রবাহিনীর সেই ট্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ০৫ মে ২০১৮

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীর কাঁচদহ ঘাটের পানির নিচে থাকা ট্যাংকটি অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দিনভর চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ট্যাংকটি পানির নিচ থেকে তুলে আনা হয়।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল স্যালোমেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করতে গিয়ে এর সন্ধান পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলে রংপুরের জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের দুধিয়াবাড়ী গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ট্যাংকটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।

Rangpur3

কাঁচদহ গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল লতিব মিয়ার ছেলে আলতাব হোমেন (৭৫) ও রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার নিধিরামপুর গ্রামের মৃত নজমুল হোসেনের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় মিত্রবাহিনী অনেকগুলো ট্যাংক নিয়ে করতোয়া নদী পার হয়ে রংপুরের পীরগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় এখানে কাদা আর চোরাবালিতে আটকে যায় এই ট্যাংকটি। এ ঘটনা ঘটে দুপুরের দিকে। সেসময় তারা এটি উদ্ধারে যতই চেষ্টা চালায়, ততই ট্যাংকটি ডেবে যায়। দিনভর চেষ্টা করে সফল না হওয়ায় চলে যান তারা। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪-৫ বছর পর এটি জেগে উঠলে বগুড়ার কিছু লোক এসে অনেক যন্ত্রাংশ কেটে কেটে নিয়ে গেছে। এরপর গত ১২ থেকে ১৪ বছর আগে আবারও জেগে ওঠে ট্যাংকটি। তখনও এর যন্ত্রাংশ অনেকেই কেটে নিয়ে গেছে। মূলত তখন এটি উদ্ধার বা সংরক্ষণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে এটি হয়তো অক্ষত থাকতো। কিন্তু এবার যখন জেগে উঠেছে তখন টনক নড়েছে সবার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক কিছুই নেই।

Rangpur3

এদিকে শনিবার ট্যাংকটির উদ্ধার খবর পেয়ে উৎসুক শত শত মানুষ সেটি দেখার জন্য ওই এলাকায় ভিড় করতে থাকেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সাত্তার মণ্ডল বলেন, আমরা যুদ্ধের সময় ট্যাংকটি উদ্ধারের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সম্ভব হয়নি।

পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমল কুমার ঘোষ জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ট্যাংকটির অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের এ স্মৃতি সংরক্ষণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জিতু কবীর/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।