ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি


প্রকাশিত: ০৭:১৮ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৫

ফেনীর ফুলগাজীতে সাপ্তাহব্যাপী টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বন্যা দুর্গত এলাকায় অপর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ, ওষুধ ও সুপেয়জল সংকটে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্যার পানি থাকায় নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় মুহুরী-কহুয়া বাধের ছয়টি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে উপজেলার উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, শাহাপাড়া, বিজয়পুর, ঘনিয়ামড়া, জয়পুর, গোসাইপুর, বরইয়া, করইয়া, জগতপুর, বাশুড়া, উত্তর বরইয়া, দক্ষিণ বরইয়া গ্রামসহ উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে ওই উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ।

বন্যার পানিতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা পরশুরাম উপজেলার কহুয়া নদীর বৈরাগপুর নামক স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বৈরাগপুর ও কহুয়া, টেটেশ্বর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অধিকাংশ গ্রামের মানুষ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। মাছের ঘের, ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ফুলগাজী উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ ও এক লাখ টাকার শুকনা খাবার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।

বন্যা দুর্গত ছালেহা বেগম জানান, বন্যার পানিতে এক সপ্তাহ ধরে আটকে আছি। ছেলে-মেয়ে না খেয়ে আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ পায়নি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক আবু দাউদ মো. গোলাম মোস্তাফা জানান, ফেনীতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় পরিমাণমত ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হবে।

জহিরুল হক মিলু/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।