পাহাড়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের আমেজ
রাঙামাটিতে শারদীয় দুর্গোৎসবের সব প্রস্তুতি সম্পন হয়েছে। চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমার সাজ। মঙ্গলবার থেকে রাঙামাটি জেলায় হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে।
এবার রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলাসহ ৪০টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। এর মধ্যে উপজেলাওয়ারি রাঙামাটি সদরে ১৪, কাপ্তাইয়ে ৭, রাজস্থলীতে ৩, কাউখালীতে ৪, নানিয়ারচরে ২, জুরাছড়িতে ১, বিলাইছড়িতে ১, বাঘাইছড়িতে ৪, লংগদুতে ২ এবং বরকলে ২টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা শুরুর প্রথম দিনে দেবী দুর্গার ষষ্ঠীপূজা। এই পূজার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে রয়েছে ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ এবং সায়ংকালে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। উৎসবের পঞ্চম দিনে বিজয়া দশমীতে পূজার সমাপ্তি এবং প্রতিমা বিসর্জন হবে। এবার দেবীর আগমন ঘটেছে নৌকায় । গমন করবেন দোলায় চড়ে।
এদিকে হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে উৎসবে মেতে উঠেছে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ, বইছে উৎসবের আমেজ।
রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমর দে জানায়, রাঙামাটিতে শারদীয় দুর্গোৎসবের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে শেষ হয়েছে মূর্তি তৈরি ও স্থাপনার কাজ। এখন চলছে রংকরণ, পোষাক তৈরি ও মন্ডপ সাজ-সজ্জার কাজ। তাছাড়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মন্ডপগুলোতে নারী-পুরুষের পৃথক প্রবেশপথ, প্রতিমা বির্সজন, মন্ডপে মন্ডপে সার্বক্ষণিক আলোর ব্যবস্থা, কমিটি কর্তৃক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানায়, এবার রাঙামাটি শহর এলাকাসহ জেলার শারদীয় দুুর্গোৎসবকে ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। তাছাড়া উৎসব অবাধ, শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানে মন্ডপে মন্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।